সিঙ্গাপুর ভ্রমণ ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজনীয়

সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ

সিঙ্গাপুর ভ্রমণে যাওয়ার জন্য ভাবছেন কিভাবে সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং করতে হয়।কতদিন লাগবে ভিসা পেতে, সিঙ্গাপুর ভিসার ফ্রি কত আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ুন, সিঙ্গাপুর ভিসার প্রযোজনীয় কাগজ নিজেই প্রস্তুত করতে পারবেন। সিঙ্গাপুর এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে ছোট একটি দেশ।সিঙ্গাপুর ভুখন্ডের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ছুটে যায় অনেক পর্যটক।
সিঙ্গাপুর ভ্রমন ভিসার জন্য আবেদন করতে যেসব কাগজ পত্র লাগবে
১.পাসপোর্ট 
২.ভোটার আইডিকার্ড
৩.ব্যাংক স্টেইটমেন্ট 
৪.ব্যাংক সলভেন্সি
৫.ছবির সাইজ
৬.ভিসা রিকোয়েস্ট লেটার
৭.এয়ার টিকেট বুকিং
৮.হোটেল বুকিং 
৯.সর্বশেষ সিঙ্গাপুর ভিসার কপি


০১.পাসপোর্ট, সিঙ্গাপুর ভ্রমণ ভিসা আবেদন করতে হলে, অবশ্যই আপনার পাসপোর্টের দুটি সাদা পাতা থাকতে হবে। এবং পাসপোর্টের মেয়াদ কম হলে ও ৭ মাস থাকতে হবে।পুরাতন পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
পাসপোর্টের দুটি সাদা পাতা থাকতে হবে
পাসপোর্টের মেয়াদ ৭ মাস থাকতে হবে
পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে অবশ্যই সংঙ্গে জমা দিতে হবে।
০২.ব্যাংক স্টেইটমেন্ট, ব্যাংক স্টেইটমেন্ট অবশ্যই ৬ মাসের হতে হবে, ব্যাংক ব্যালেন্স নিম্নে ৬০ হাজার দেখাতে হবে। তবে ব্যাংক স্টেইটমেন্ট জমা দেওয়ার পর টাকা উত্তোলন করা যাবে না। যদি টাকা উত্তোলন করেন নির্ধারিত ব্যাংক স্টেইটমেন্ট থেকে তাহলে ভিসা  না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্ট হলেও চলবে।
০৩.ব্যাংক সলভেন্সি, ব্যাংক সলভেন্সি হল, আপনার ব্যাংক একাউন্টের একটি ছাড়পত্র, যেখানে লেখা থাকে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম, একাউন্ট যার নামে তার নাম।পাশাপাশি একাউন্টের টাকার পরিমান উল্লেখ্য থাকে, তবে ব্যাংক স্টেইটমেন্ট এবং সলভেন্সি একই রকম হতে হবে।টাকার পরিমান এবং নাম ভালো করে যাচাই করে নিবেন।
০৪.জাতীয় পরিচয় পত্র, আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি   জমা দিবেন এক কপি। ফাইল জমা দেওয়ার সময়।
০৫.ছবির সাইজ, সদ্য তুলা ছবি জমা দিতে হবে আবেদন ফরমের সাথে। ছবির সাইজ ৪৫×৩৫ মেট পেপারে ছবি তুলে দিতে হবে ল্যাব প্রিন্ট।
০৬.ভিসা রিকোয়েস্ট লেটার, সিঙ্গাপুর ভ্রমণে যেতে হলে অবশ্যই ভিসা রিকোয়েস্ট লেটার লাগবে, যারা সিঙ্গাপুর ভ্রমণে যাবেন ভিসা আবেদন ফরমে ভিসা অফিসার কে এড্রেস করে একটি আবেদন দিতে হবে। তবে  ভিসা নিজে আবেদন করতে সমস্যা হয়, তাহলে এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করা খুব সহজ, কারন এজেন্সী সব সময় ভিসা নিয়ে কাজ করার ফলে তাদের কাছে অনেক ইনভাইটেশন লেটার থাকে তারা সহজে আপনাকে ভিসা আবেদন করে দিবে।
০৭.এয়ার টিকেট বুকিং, সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদনের সময় বাংলাদেশ টু সিঙ্গাপুর এয়ার টিকেট কপি জমা দিতে হয় রিটার্ন টিকেট সহ, অনেক ইয়ার কম্পানি তারা এয়ার টিকেট পে না করেই টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে এই কাজটি যদি আপনার কাছে কঠিন মনে হয় তাহলে, এজেন্সির মাধ্যমে করলে খুব সহজ হবে, আপনার কোন তথ্য বাকী থাকলে তারা সেটি করিয়ে নিবে।
০৮.হোটেল বুকিং, সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদনের সময় হোটেল বুকিং রশিদ জমা দিতে হয়। তাই বিশ্বের বেশ কিছু ওয়েব সাইট আছে তাদের কাছ থেকে হোটেল বুকিং রশিদ সংগ্রহ করতে পারবেন।যেমন Agoda, booking.com থেকে পে না করেই রশিদ নিতে পারবেন।
০৯.সর্বশেষ সিঙ্গাপুর ভিসার কপি ইতিমধ্যে যদি সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করে থাকেন, ভিসার মেয়াদ শেষ, তাহলে অবশ্যই পুরাতন ভিসার কপি জমা দিবেন আবেদন ফাইলের সাথে।


পেশা অনুযায়ী যেসব কাগজ লাগবে
১.ট্রেড লাইন্সেন 
২.ভিজিটিং কার্ড
৩.বিজনেস প্যাড
৪.মারেজ সার্টিফিকেট 
৫.১৮বছরের নিচে হলে অবিভাবকের সম্মতিপত্র 
০১.ট্রেড লাইসেন্স, ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা/ সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স উত্তোলন করতে হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে।ট্রেড লাইসেন্স ইংলিশ অনুবাদ, ইংরেজিতে অনুবাদ করতে হবে এবং অনুবাদ করা ট্রেড লাইসেন্স টি নোটারি পাবলিক করতে হবে, তার পর সকল কাগজ পত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
বাংলা ট্রেড লাইসেন্স 
ইংরেজিতে অনুবাদ কপি জমা দিবেন
ইংরেজিতে অনুবাদ কপি নোটারী পাবলিক করতে হবে।
0২.ভিজিটিং কার্ড, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ইংরেজিতে ভিজিটিং কার্ড বানাতে হবে, কার্ডটি প্রফেশনাল মানের হতে হবে।
0৩.বিজনেস প্যাড, আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে একটি বিজনেস  প্যাড বানাবেন,ফরমেট কিভাবে রেডি করতে হয়, অনলাইনে অনেক ফরমেট পাবেন দেখে নিবেন।
০৪.মারেজ সার্টিফিকেট, স্বামী,স্ত্রী সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে অবশ্যই কাবিননামা ইংরেজি সার্টিফিকেট আবেদনের সময় জমা দিবেন।
০৫.১৮ বছরের নিচে হলে অবিভাবকের সম্মতিপত্র, পরিবারের সাথে ছাড়াও অনেকে আছে ভ্রমণ করতে চায়, তখন পরিবারের অনুমতি পত্র লাগে সেটি জমা দিবেন আবেদনের সময়।
চাকুরিজীবি,চাকুরিজীবি হলে আপনার অফিসের অফিসিয়াল নো অবজেকশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করবেন(NOC)। অফিস থেকে একটি প্যাড সংগ্রহ করবেন।যেখানে লিখা থাকবে, আপনার নাম, পাসপোর্ট নম্বর, ভ্রমনের কারন ইত্যাদি। প্যাডে অবশ্যই আপনার কম্পানির ওয়েবসাইট এড্রেস, মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে।সিঙ্গাপুর এম্ভেসি অনেক সময় ওয়েব সাইট ভিজিট করতে পারে। অথবা মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে আপনার সম্পর্কে জানতে পারে।
যেবস কাগজ অবশ্যই লাগবে
NOC নো অবজেকশন লেটার
অফিস ভিজিটিং কার্ড 
অফিস আইডিকার্ড
স্যালারি ব্যাংক স্টেইটমেন্ট
 পে স্লিপ অথবা স্যালারি সার্টিফিকেট
ফ্রিলান্সার,যদি ফ্রিল্যান্সার হোন তাহলে যেখানে কাজ করেন, ফ্রিলান্সার হিসেবে  প্রোফাইল আছে তার প্রমানপত্র জমা দিতে হবে। ইনকামের তথ্য, Certificate of Earnings দিতে পারেন। 
এক নজরে ডকুমেন্ট
প্রোফাইল স্ক্রিনশট
আর্নিং হিস্টোরি 
Certificate of Earnings 
ছাত্র - Students, যারা ছাত্র ফ্যামিলির সাথে ভ্রমণে যেতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই স্কুল অথবা কলেজ/ ইউনিভার্সিটির আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে। আরও ভালো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  থেকে একটি ছাড়পত্র জমা দিতে পারেন। যেসব কাগজ ছাত্র / Students হিসেবে জিমা দিতে হবে
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড / ইউনিভার্সিটি আইডি কার্ড 
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে রেকমেন্ডেশন লেটার
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নো অবজেকশন লেটার
ব্যবসায়ী,যারা বিজনেসম্যান অনেক সময় ভ্রমণের জন্য বাহিরে যেতে হয় বা ঘুরাঘুরির জন্য।একজন ব্যবসায়ী হিসেবে যেসব কাগজ অবশ্যই লাগবে।আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, বাংলা যদি লাইসেন্স থাকে অবশ্যই ইংরেজিতে অনুবাদ করিয়ে নিতে হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে একটি বিজনেজ প্যাড, ভিজিটিং কার্ড। টিন সার্টিফিকেট। এসব কাগজ অবশ্যই জমা দিতে হবে।লিমিটেড কম্পানি মেমোরেন্ডাম আর্টিকেল কপি জমা দিতে হবে।
যেবস কাগজ লাগবে
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স 
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে বিজনেস প্যাড 
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ভিজিটিং কার্ড 
লিমিটেড কম্পানি মেমোরেন্ডাম আর্টিকেল কপি জমা দিতে হবে।
ডাক্তার বা আইনজীবী,যারা ভ্রমণে যেতে চান তাদের অবশ্যই আবেদন প্রক্রিয়া খুবই সহজ। ডাক্তার হলে কর্মস্থলের NOC নো অবজেকশন লেটার জমা দিবেন। অথবা BMDC সার্টিফিকেট লাগবে।আইনজীবী হলে বার কাউন্সিলের NOC নো অবজেকশন সার্টিফিকেট জমা দিলেই হবে। যেখান থেকে সার্টিফিকেট নিতে পারবেন বার কাউন্সিল অথবা ল ফার্ম থেকে নিতে পারবেন।
যেবস কাগজ লাগবে
হাসপাতাল থেকে NOC 
BMDC সার্টিফিকেট 
বার কাউন্সিলের সনদ বা NOC 
মেডিকেল ভিসা,মেডিকেল ভিসা আবেদনের জন্য বেশ কিছু ধাপ আছে সেগুলো পুরন করলে খুব সহজে সিঙ্গাপুর মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। প্রথমে সিঙ্গাপুর মেডিকেল ভিসা আবেদন করতে হলে প্রথমে ধাপ হল থাইল্যান্ডের মেডিকেলের অ্যাপায়েন্টমেন্ট  লেটার নিতে হবে। বাংলাদেশের যেকোনো ডাক্তারের রেকমেন্ডশন লেটার জমা দিতে হবে। রোগীর  সমস্যার সকল প্রমাণ জমা দিতে হবে। যে রোগী তার শরিলের কন্ডিশন অনুযায়ী ভ্রমণ তারিখ উল্লেখ করে একটি রেফারেন্স লেটার ব্যাংকক হাসপাতালে জমা দিতে হবে। আবেদন কপি অনুমোদন হলে সেটি জমা দিবেন। রোগীকে যদি ইয়ার এম্ভুলেন্সে যাতায়াত করতে হয় সেটিও উল্লেখ করতে হবে।
যেসব কাগজ অবশ্যই জমা দিবেন
সিঙ্গাপুর হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট  লেটার 
বাংলাদেশী ডাক্তারের রেকমেন্ডশন লেটার 
রোগীর সকল প্রকার টেস্ট রিপোর্ট 
পূর্বের সকল মেডিকেল ডকুমেন্ট 
রোগীর ট্রাভেল করার মত মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট 

সিঙ্গাপুর ভ্রমণ ভিসার খরচ কত

সিঙ্গাপুরের ভিসা আবেদন খরচ ৩০ ডলার, টাকা Debit credit পেমেন্ট করা যায়। এজেন্সি দিয়ে ভিসার কাজ করানো খুব সহজ তাই নিজে না পারলে এজেন্সির মাধ্যমে করানো উচিত।


ভিসা সংক্রান্ত বিষয় জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইটে www.vlogbd.com ডকুমেন্টস রেডি করতে ইমেল করুন chynuman33@gmail.com 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪