আনন্দ বিহার কুমিল্লা

আনন্দ বিহার বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার লালমাই-ময়নামতির প্রত্নস্থলে প্রাচীন সভ্যতার একটি নির্দশন।


আনন্দবিহার সপ্তম বা অষ্টম শতাব্দীর প্রথম দিকে কোন এক সময় নির্মান করেন,দেব রাজ বংশের তৃতীয় রাজা শ্রী আনন্দ দেব।আনন্দবিহারের কাঠামো বিহারটি বর্গাকৃতির যার প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য১৯৮মিটার করে,এ রকম চারটি বাহু রয়েছে।প্রতিটি সুবিন্যস্ত সন্ন্যাসীদের কক্ষ রয়েছে। কক্ষগুলো একটি বিরাট ক্রুশ আকৃতির জাঁকালো, মন্দিরের চারপাশ ঘিরে অবস্থান করছে।মন্দিরটি বিহারের খোলা আঙিনার মধ্যস্থলে অবস্থিত।উত্তর দিকে ঠিক মধ্যভাগে একটি প্রবেশদ্বার লক্ষ্য করা যায়,বিহারের একমাত্র প্রবেশদ্বার।বাইরের অংশ বৃহৎপরিসরে গঠিত এবং বাইরের দিকে সম্প্রাসারিত। বিহারের চেয়ে বড় ও বিস্তৃত।


প্রত্নত্ব নিদর্শন কী কী? বেশ পুরুনো দেখতে খুব সুন্দর দেওয়ালে অফসেট ও ছাঁচের তৈরি নকশা রয়েছে।ভেতরের বারান্দার দেওয়ালও ছাঁদ দ্বারা অলংকৃত। ভেতরের দেওয়ালটি নকশা করা, ইট দ্বারা সুসজ্জিত।খননকাজে যে অংশগুলো আবিষ্কৃত হয়েছে,তা থেকে বোঝা যায় যে এ গুলো দীর্ঘ কাল ধরে ব্যবহার হয়ে এসেছে।


আনন্দবিহারে কি কি খুড়েঁ পাওয়া গেছে? একটি তাম্রশাসন, ৬৩টি রৌপ্য মুদ্রা,অনেক গুলো ব্রোঞ্চ মূর্তি,পোড়ামাটির ভাস্কর্য,নাম ফলক,মঠের বাইরে মৃৎপাত্র পোড়ানোর কাজে ব্যবহারকৃত একটি ভাঁটির অস্তিত্ব রয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪