জয়পুরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান ও ইতিহাস ঐতিহ্য
Jaipurhat Dristict রাজশাহী বিভাগের একটি অন্যতম প্রশাসনিক জেলা এ জেলায় রয়েছে নিজের আলাদা ইতিহাস ঐতিহ্য।প্রাচীন জনপদে এক সময় সুতা ক্রয় বিক্রয়ের জন্য বিখ্যাত ছিল।
জয়পুরহাট জেলার ভৌগলিক পরিচিতি,পূর্বে বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলা,উত্তরে গাইবান্ধা ও দিনাজপুর
জেলা এবং ভারত সীমান্ত দক্ষিণে বগুড়া জেলা ও নওগাঁ জেলা,পশ্চিমে নওগাঁ জেলা ও ভারত সীমান্ত অবস্থিত।
জয়পুরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান,পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি,আছরাঙ্গা দিঘী,নান্দাইল দিঘী,
জামালগঞ্জ কয়লাখনি,লকমা জমিদার বাড়ি,পাথরঘাটা,বিলেরঘাট,গোপীনাথপুর মন্দির,হিন্দা-কসবা
শাহী জামে মসজিদ,বেল আমলা বার শিবালয়, ভীমের পান্টি,মঙ্গলবাড়ি,নিমাই পীরের মাজার,
দুয়ারীঘাট,শিশু উদ্যান,বাংলাদেশ কয়লা,খনিজ ও ধাতব গবেষণা ইন্সটিটিউট,খঞ্জনপুর,বাস্তবপুরী,
জয়পুরহাট চিনিকল লি.জামালগঞ্জ কয়লাখনি।সহ বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান এ জেলায় অবস্থিত।
জয়পুরহাট জেলার পরিচিতি ও নামকরণের ইতিহাস,জয়পুরহাট জেলার পূর্ব নাম ছিল গোপেন্দ্রগঞ্জ,
পরবর্তীতে জয়পুরহাট জেলার নামকরণর করা হয়
জয়পুরহাট জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য,জয়পুরহাট হাট জেলা ষোড়শ বা সপ্তদশ
শতাব্দী পর্যন্ত জয়পুরহাট জেলার কোন অস্তিত্ব ছিল না।তবে দীর্ঘ সময় গৌড়ের
পাল এবং সেন রাজাদের রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল।১৮২১ সালে বৃহত্তর রাজশাহী জেলার চারটি,
রংপুর জেলার ২টি দিনাজপুর জেলার ৩টি থানা নিয়ে মহকুমার অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯৭১ সালে।
১৯৮৪ সালে জয়পুরহাট কে জেলা রুপান্তর করা হয়।
জয়পুরহাট জেলার ঐতিহ্য,এক সময় জয়পুরহাট সুতার জন্য বিখ্যাত ছিল,তিলকপুরে নিয়মিত হাট
বসত কালের পরিক্রমায় সুতা বিক্রয়ের বাজার বন্ধ হয়ে যায়
জয়পুরহাট জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত,
জয়পুরহাট জেলায় চেয়ে পরিচিত,সোনালী মুরগী,কচুর লতী,চুনা পাথর,আলু ভর্তা,আলু,
কলা,চুটপটি ইত্যাদি এ জেলায় বেশি পাওয়া যায়।
জয়পুরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার,
এ জেলার বিখ্যাত খাবার চটপটি,আলু ভর্তা,সোনালী মুরগের মাংস,কচুর লতি।
জয়পুরহাট জেলার প্রধান নদ-নদী
ছোট যমুনা নদী,তুলসীগঙ্গা নদী,হারাবতী নদী, চিরির নদী।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি জয়পুরহাটের,জয়পুরহাট জেলায় বেশ কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে এর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল,
সাঁওতাল,মুন্ডা,ওঁরাও,মাহালী। সহ বেশ কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী দেখা মিলে।
জয়পুরহাট জেলার অর্থনীতি,জেলাটি কৃষিনির্ভর হওয়া এখানে সবাই কৃষি পণ্য উৎপাদন করে থাকে,
প্রধান-শস্য ধান,আলু,ইক্ষু,লতিরাজ,কলা,মাল্টা.
জয়পুরহাট জেলার খনিজ সম্পদ,চুনাপাথর,৫১৮মি: ৩৮৪ বর্গ মিটার এলাকাজুড়ে
চুনাপাথর এর খনির সন্ধ্যান পাওয়া গেছে।কয়লা,জয়পুরহাটের জামালগঞ্জের পাহাড়পুরে
৬৪০ মিটার গভীরে বিপুল পরিমাণ পার্মিয়ান যুগের বিটুমিনাস কয়লা পাওয়া গেছে।
রপ্তানি পণ্য-জয়পুরহাট জেলার,ধান,আলু,ইক্ষু,লতিরাজ,কলা,মাল্টা।
জয়পুরহাটের খনিজ সম্পদ কী আছে?চুনাপাথর,কয়লা,পার্মিয়ান যুগের বিটুমিনাস
কয়লা পাওয়া যাগ।এখানে প্রায় ১০৫৫৩.৯০ মিলিয়ন টন মজুদ আছে।
এক নজরে জয়পুরহাট জেলা
জয়পুরহাট জেলার উপজেলা কয়টি?
৫টি
জয়পুরহাট জেলার উপজেলা গুলোর নাম কী?
জয়পুরহাট সদর উপজেলা, আক্কেলপুর উপজেলা, কালাই উপজেলা,
ক্ষেতলাল উপজেলা, পাঁচবিবি উপজেলা।
জয়পুরহাট জেলার থানা কয়টি?
৫টি।
জয়পুরহাট জেলার থানার নাম?
জয়পুরহাট জেলায় ৫টি থানা রয়েছে,থানা গুলো হল.আক্কেলপুর থানা,
কালাই থানা, পাঁচবিবি থানা, জয়পুরহাট থানা।
জয়পুরহাট জেলার পৌরসভা কয়টি?
৫টি পৌরসভা।
জয়পুরহাট জেলার পৌরসভা গুলোর নাম কী?
জয়পুরহাট সদর পৌরসভা, দুপচাঁচিয়া পৌরসভা, ক্ষেতলাল পৌরসভা,
কালাই পৌরসভা, আক্ষেল পুর পৌরসভা।
জয়পুরহাট জেলায় সংসদীয় আসন কয়টি?
২টি
জয়পুরহাট জেলার সংসদীয় আসনের নাম কী
জয়পুরহাট জেলার আয়তন কত?
৯৬৫.৪৪বর্গকিমি।
জয়পুরহাট জেলায় কতটি গ্রাম আছে?
৯৮৮টি।
জয়পুরহাট জেলার জনসংখ্যা কত?
৯,৫০,৪৪১ জন।
জয়পুরহাট জেলার শিক্ষার হার কত
৬৪%লোক এ জেলার শিক্ষিত।
জয়পুরহাট জেলার ইউনিয়ন কয়টি আছে?
৩২টি।
জয়পুরহাট জেলার মৌজা কয়টি আছে?
৭৬২টি।
জয়পুরহাট জেলার পোস্ট কোড কত?
৫৯০০।
জয়পুরহাট জেলায় কয়টি গ্রাম আছে?
৫০৩৮।
যোগাযোগ জয়পুরহাট জেলা:ঢাকা থেকে জয়পুরহাট জেলার দুরুত্ব মাত্র ২৮০ কিলোমিটার,
সড়কপথ,ট্রেইন দিয়ে জয়পুরহাট জেলায় খুব সহজে যাতায়াত করা যায়।