নরসিংদী জেলার দর্শনীয় স্থান, ইতিহাস ও ঐতিহ্য

নরসিংদী জেলা বাংলাদেশের মধ্যভাগের রাজধানী পাশে অবস্থিত একটি জেলা,
ঢাকা বিভাগের প্রশাসনিক অঞ্চল।



নরসিংদী জেলা বাংলাদেশের মধ্যভাগের রাজধানী পাশে অবস্থিত একটি জেলা, ঢাকা বিভাগের প্রশাসনিক অঞ্চল। নরসিংদী জেলার দর্শনীয় স্থান,নরসিংদী জেলায় বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে ঐতিহাসিক নরগরী হিসেবে খ্যাত এখানে রয়েছে দেশ সেরা বেশ কিছু উল্ল্যেখযোগ্য  পর্যটন স্পর্ট।ওয়ারী বটেশ্বর, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, সোনাইমুড়ি টেক, ভাই গিরিশচন্দ্র সেনের বাস্তবিটা, আরশিনগর মিনি পার্ক, ড্রিম হলিডে পার্ক, বালাপুর জমিদার বাড়ি,  লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি, সিধেন সাহার জমিদার বাড়ি, কুন্ডু সাহা জমিদারবাড়ি, মনু মিয়া জমিদার বাড়ি, রায় চৌধুরীর জমিদারবাড়ি,সহ বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান-নরসিংদী জেলায় রয়েছে।বাংলাদেশের প্রথম দ্বিতলা রেলস্টেশন ঘোড়াশালে অবস্থিত। নরসিংদী জেলার মানচিত্র,উত্তরে,কিশোরগঞ্জ জেলা,পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও কিশোরগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে নারায়নগঞ্জ জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা,পশ্চিমে গাজীপুর জেলা অবস্থিত। নরসিংদী জেলার নামকরণের ইতিহাস,এক সময় নরসিংহ নামক রাজার, শাসনাধীন ছিল “Narsingdi District”পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথমদিকে প্রাচীন বক্ষ্যপুত্র  নদীর পশ্চিম তীরে রাজা নরসিংহ,একটি ছোট নগরী স্থাপন করেন,রাজার নাম অনুসারে, নগরীর নামকরণ করন করা হয়।পরবর্তীতে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলে নরসিংদী ঢাকা  জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়।এক সময় নরসিংদী অঞ্চল মহেশ্বরদী পরগনার  অন্তর্ভুক্ত ছিল। জমিদার দেওয়ান ঈশা খাঁ,পরবর্তীতে জমিদারি দেখাশুনা করেন  পালাক্রমে দেওয়ান শরিফ খাঁ ও আয়েশা আক্তার খাতুন। নরসিংদী জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য,১৯৭৮ সালে মহকুমা এবং ১৯৮৪সালে নরসিংদী  কে একটি জেলায় রুপান্তরিত করা হয়।দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল মেঘনা বিধৌত নিম্নভূমি, পশ্চিমাঞ্চি উচ্চ সমতল ভূমি,উত্তররাঞ্চলে ছোট ছোট পাহাড়,টিলা,টেক  নয়ানাভিরাম অরণ্য আবরণে আবৃত।নরসিংদী জেলার উত্তর অঞ্চলের পাহাড়ি ভূমি বাংলাদেশের আদি ভূমির অন্তর্গত।এখানে রয়েছে ওয়ারী বটেশ্বর’অসমরাজার গড়’যা নব্য প্রস্তর যুগীয় সভ্যতার নিদর্শন।শিবপুর উপজেলায় জয়মঙ্গল নামে  পাহাড়ী গ্রামে আবিস্কৃত হয়েছে গুপ্ত যুগের স্বর্ণমুদ্রা।একই উপজেলায় আবিষ্কার  হয়েছে মহারাজা দেব খড়গের তাম্রলিপি এবং অষ্টধাতুর নির্মিত একটি প্রাচীন মসজিদ। নরসিংদী জেলার ঐতিহ্য,তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত‘প্রাচ্যের ম্যানচেস্টার’  বলে খ্যাত শেখেরচর(বাবুরহাট) নরসিংদী জেলায় অবস্থিত।নরসিংদী জেলার  শিক্ষা সাহিত্য, ও সংস্কৃতি যারা আলোকবর্তিকা, নরসিংদী কে ঐতিহ্যমন্ডিত  করেছে তারা হলেন উপমহাদেশে প্রথম বাঙ্গালী আই সি এস স্যার জে,কে গুপ্ত, পবিত্র কুরআনের বাংলা অনুবাদক ভাই গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ি নরসিংদী জেলায়। আরও যারা আছেন কবিয়াল হরিচরণ আচার্য উপাধি (কবিগুণাকর) মৌলভী সেকান্দর আলী, কবি দ্বিজদায়,আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি শামসুর রহমান,আলাউদ্দিন আল আজাদ, আব্দুল মোমেন,আহমদুল কবির মনু মিয়া সহ বেশ কয়েকজন  উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির জন্মস্থান নরসিংদী জেলায়। নদ-নদী-নরসিংদী জেলা,মেঘনা,শীতলক্ষ্যা,আরিয়াল খাঁ,পুরাতন ব্রহ্মপুত্র,হাঁড়িধোয়া এবং পাহারিয়া নরসিংদী জেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নরসিংদী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত,সাগর কলা-লটকন,বেলাবোর কাঠাল, সবজি এখান থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার হাটগুলোতে পাইকারি  ক্রেতারা কিনে নিয়ে যায়। নরসিংদী জেলার বিখ্যাত খাবার,রসগোল্লা, ফল, পিঠা,তেলের পিঠা,পাটিসাপ্টা, গরুর মাংসের শুটকি ভুনা,গরুর মাংসের কালা ভুনা,হাসেঁর মাংসের ভুনা সহ  বেশ কিছু উল্ল্যেখযোগ্য খাবার নরসিংদী জেলায় পাওয়া যায়। নরসিংদী জেলার ঐতিহ্য কী,নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের অনতিদুরে পশ্চিমদিকে  তরোয়া গ্রামে হযরত কাবুল শাহের মাজার,কুমরাদী গ্রামে হযরত শাহ মনসুরের মাজার, পাটুলী ইউনিয়নে হযরত শাহ ইরানীর মাজার,ওয়ারী গ্রামে হযরত সোলায়মানের মাজার, এবং পারুলিয়া দেওয়ান সাহেবের মাজার বিশেষভাবে উলেখযোগ্য। নরসিংদী মহকুমা কতটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল,নরসিংদী সদর,শিবপুর,পলাশ,মনোহরদী, রায়পুরাও বেলাব এই গুলো উপজেলা এক সময় মহকুমার অন্তর্ভুক্ত ছিল। নরসিংদী কত সালে মহকুমার অন্তর্ভুক্ত হয়? ১৯৭৮ সালে।  নরসিংদী জেলা কত সালে প্রতিষ্টিত হয়? ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্টিত হয়। নরসিংদী জেলার মোট আয়তন কত? ১,১৪০.৭৬ বর্গকিমি। (৪৪০.৪৬বর্গমাইল) নরসিংদী জেলার মোট জনসংখ্যা কত? মোট জনসংখ্যা ১৮,৯৫,৯৮৪। নরসিংদী জেলার জনঘনত্ব কত? ১৭০০/বর্গকিমি(৪,৩০০/বর্গমাইল) নরসিংদী জেলার শিক্ষার হার কত? ৪২.০৯% নরসিংদী জেলার পোস্ট কোড কত? ১৬০০/১৬৩১ নরসিংদী জেলার প্রশাসনিক বিভাগের কোড কত? ৩০৬৭। নরসিংদী জেলায় কয়টি পৌরসভা আছে? ৫টি। নরসিংদী জেলার পৌরসভা সমূহের নাম কী, নরসিংদীসদর,পলাশ,শিবপুর,মনোহরদী,বেলাব এবং রায়পুরা। নরসিংদী জেলার উপজেলা কয়টি  ৬টি। নরসিংদী জেলার উপজেলা সমূহের নাম, নরসিংদী জেলায় ৬টি উপজেলা রয়েছে উপজেলা গুলোর নাম হল,নরসিংদী উপজেলা, রায়পুরা উপজেলা,বেলাবো উপজেলা,পলাশ উপজেলা,মনোহরদী উপজেলা,শিবপুর উপজেলা, নরসিংদী জেলায় থানা কয়টি? ৬টি। নরসিংদী জেলায় থানা সমুহের নাম, ৬টি থানা নিয়ে জেলা গঠিত থানা গুলো হল-নরসিংদী সদর, পলাশ, শিবপুর,মনোহরদী,বেলাব এবং রায়পুরা। নরসিংদী জেলার সংসদীয় আসন কয়টি? ৫টি সংসদীয় আসন আছে নরসিংদী জেলায়। নরসিংদী জেলার সংসদীয় আসন গুলোর নাম কী,রাজধানী ঢাকা শহরের পাশে অবস্থিত,এ জেলায় ৫টি সংসদীয় আসন রয়েছে,আসন গুলো হল। জাতীয় নির্বাচনের আসন নং  জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা ১৯৯ নরসিংদী-১ নরসিংদী সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ব্যতীত। ২০০নরসিংদী-২ পলাশ উপজেলা ও নরসিংদী সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়ন,পাঁচদোনা ইউনিয়ন,মেহেরপাড়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ২০১নরসিংদী-৩ শিবপুর উপজেলা। ২০২নরসিংদী-৪ মনোহদী উপজেলা ও বেলাবো উপজেলা। ২০৩নরসিংদী-৫ রায়পুরা উপজেলা।  নরসিংদী জেলার ইউনিয়ন কয়টি? ৬৯টি। নরসিংদী জেলার মৌজা কয়টি ৬২৩টি। নরসিংদী জেলার গ্রাম কয়টি? ১০৫৯টি। নরসিংদী জেলার লোকসংস্কৃতি, ইতিহাস ঐ তিহ্য ভরপুর নরসিংদী  জেলায় বেস কিছু সংস্কৃতি চর্চা লক্ষ্য  করা যায়, উল্লেখযোগ্য লোকসংস্কতি হল- দীপান্বিতা,ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া,ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় প্রতি বছর কার্তিকের শুল্কা দ্বিতীয়া তিথিতে বোনেরা ভাইদের কপালে চন্দন ও কাজল ফোটা দেয়।পুণ্যাহ জামাই ষষ্ঠী উল্লেখযোগ্য। নরসিংদী জেলার বিখ্যাত খাবার,ফুল পিঠা,তেলের পিঠা,পাটিসাপ্টা,গরুর  মাংসের ভুনা,শুটকী ভুনা,গরুর মাংসের  কালা ভুনা,হাঁসের মাংসের ভুনা,সুগন্দই চাল,শিবপুরের রসগোল্লা,কলম্বো লেবু, সাগর কলা,পেয়ারা ইত্যাদি এ জেলার বিখ্যাত খাবার। নরসিংদী জেলায় চিকিৎসা সেবা, নরসিংদী জেলায় বেশ কিছু হাসপাতাল  রয়েছে এখানে জেলার সকল মানুষের  জন্য চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।ডায়াবেটিস হাসপাতাল, নরসিংদী সদর হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, সহ বেশ কিছু  বেসরকারি ক্লিনিক এখানে গড়ে উঠেছে। নরসিংদী জেলার অর্থনীতি,প্রাচীন কাল থেকেই এ জেলা অর্থনীতিতে সমৃদ্ধশালী। তাঁত শিল্প প্রধান হাতিয়ার ছিল,কাপড় উৎপাদনে এ অঞ্চলের সুনাম রয়েছে। মাদবধী অঞ্চলের মানুষের প্রধান ব্যবসা কাপড় বিক্রি করা।নরসিংদী জেলার বাবুর হাট পাইকারি বাজার নরসিংদী জেলায় রয়েছে।নরসিংদী জেলায় কিছু মানুষ চাকুরিও  ব্যবসা বানিজ্য করে থাকে।তবে এ জেলায় কৃষি নির্ভরশীল,  পাশাপাশি কলকারখানা গড়ে উঠেছে। নরসিংদী জেলার কাপড় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়।  নরসিংদী কৃষি নির্ভর অর্থনীতি,বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলা কৃষি উৎপাদনে বেশ এগিয়ে, নরসিংদী জেলা অন্যতম,বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় নরসিংদী জেলার কাচাঁ-মাল রপ্তানি করা হয়। বেগুন,আলু,টমেটো,কাকরুল,সিম,কড়ল্লা সহ বেশ কিছু কাচাঁমাল এখানে উৎপাদন হয়ে থাকে। নরসিংদী জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা,ঢাকা-সিলেট-কুমিল্লা-চট্রগামের, হাইওয়ে  রাস্তা নরসিংদী শহরের উপর দিয়ে চলে গেছে।এ জেলায় ট্রেন দিয়ে ও যাতায়াতের  করা যায়,বাংলাদেশের যে কোন জেলা থেকে খুব সহজে নরসিংদী জেলায়  আসা যায়।শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌ-বন্দর রয়েছে,নৌ-বন্ধর  দিয়ে মালামাল বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।

নরসিংদী জেলার দর্শনীয় স্থান,নরসিংদী জেলায় বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান
রয়েছে ঐতিহাসিক নরগরী হিসেবে খ্যাত এখানে রয়েছে দেশ সেরা বেশ কিছু উল্ল্যেখযোগ্য 
পর্যটন স্পর্ট।ওয়ারী বটেশ্বর, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, সোনাইমুড়ি টেক,
ভাই গিরিশচন্দ্র সেনের বাস্তবিটা, আরশিনগর মিনি পার্ক, ড্রিম হলিডে পার্ক, বালাপুর জমিদার বাড়ি, 
লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি, সিধেন সাহার জমিদার বাড়ি, কুন্ডু সাহা জমিদারবাড়ি, মনু মিয়া
জমিদার বাড়ি, রায় চৌধুরীর জমিদারবাড়ি,সহ বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান-নরসিংদী জেলায়
রয়েছে।বাংলাদেশের প্রথম দ্বিতলা রেলস্টেশন ঘোড়াশালে অবস্থিত।


নরসিংদী জেলার মানচিত্র,উত্তরে,কিশোরগঞ্জ জেলা,পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও কিশোরগঞ্জ জেলা,
দক্ষিণে নারায়নগঞ্জ জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা,পশ্চিমে গাজীপুর জেলা অবস্থিত।


নরসিংদী জেলার নামকরণের ইতিহাস,এক সময় নরসিংহ নামক রাজার,
শাসনাধীন ছিল “ narsingdi District”পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথমদিকে প্রাচীন বক্ষ্যপুত্র 
নদীর পশ্চিম তীরে রাজা নরসিংহ,একটি ছোট নগরী স্থাপন করেন,রাজার নাম অনুসারে,
নগরীর নামকরণ করন করা হয়।পরবর্তীতে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলে নরসিংদী ঢাকা 
জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়।এক সময় নরসিংদী অঞ্চল মহেশ্বরদী পরগনার  অন্তর্ভুক্ত ছিল।
জমিদার দেওয়ান ঈশা খাঁ,পরবর্তীতে জমিদারি দেখাশুনা করেন 
পালাক্রমে দেওয়ান শরিফ খাঁ ও আয়েশা আক্তার খাতুন।
নরসিংদী জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য,১৯৭৮ সালে মহকুমা এবং ১৯৮৪সালে নরসিংদী
 কে একটি জেলায় রুপান্তরিত করা হয়।


দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল মেঘনা বিধৌত নিম্নভূমি,
পশ্চিমাঞ্চি উচ্চ সমতল ভূমি,উত্তররাঞ্চলে ছোট ছোট পাহাড়,টিলা,টেক 
নয়ানাভিরাম অরণ্য আবরণে আবৃত।নরসিংদী জেলার উত্তর অঞ্চলের পাহাড়ি
ভূমি বাংলাদেশের আদি ভূমির অন্তর্গত।এখানে রয়েছে ওয়ারী বটেশ্বর’অসমরাজার
গড়’যা নব্য প্রস্তর যুগীয় সভ্যতার নিদর্শন।শিবপুর উপজেলায় জয়মঙ্গল নামে 
পাহাড়ী গ্রামে আবিস্কৃত হয়েছে গুপ্ত যুগের স্বর্ণমুদ্রা।একই উপজেলায় আবিষ্কার 
হয়েছে মহারাজা দেব খড়গের তাম্রলিপি এবং অষ্টধাতুর নির্মিত একটি প্রাচীন মসজিদ।


নরসিংদী জেলার ঐতিহ্য,তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত‘প্রাচ্যের ম্যানচেস্টার’
 বলে খ্যাত শেখেরচর(বাবুরহাট) নরসিংদী জেলায় অবস্থিত।নরসিংদী জেলার
 শিক্ষা সাহিত্য, ও সংস্কৃতি যারা আলোকবর্তিকা, নরসিংদী কে ঐতিহ্যমন্ডিত 
করেছে তারা হলেন উপমহাদেশে প্রথম বাঙ্গালী আই সি এস স্যার জে,কে গুপ্ত,
পবিত্র কুরআনের বাংলা অনুবাদক ভাই গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ি নরসিংদী জেলায়।
আরও যারা আছেন কবিয়াল হরিচরণ আচার্য উপাধি (কবিগুণাকর) মৌলভী সেকান্দর আলী,
কবি দ্বিজদায়,আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি শামসুর রহমান,আলাউদ্দিন আল আজাদ,
আব্দুল মোমেন,আহমদুল কবির মনু মিয়া সহ বেশ কয়েকজন
 উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির জন্মস্থান নরসিংদী জেলায়।


নদ-নদী-নরসিংদী জেলা,মেঘনা,শীতলক্ষ্যা,আরিয়াল খাঁ,পুরাতন ব্রহ্মপুত্র,হাঁড়িধোয়া এবং
পাহারিয়া নরসিংদী জেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।


নরসিংদী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত,সাগর কলা-লটকন,বেলাবোর কাঠাল,
সবজি এখান থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার হাটগুলোতে পাইকারি 
ক্রেতারা কিনে নিয়ে যায়।


নরসিংদী জেলার বিখ্যাত খাবার,রসগোল্লা, ফল, পিঠা,তেলের পিঠা,পাটিসাপ্টা,
গরুর মাংসের শুটকি ভুনা,গরুর মাংসের কালা ভুনা,হাসেঁর মাংসের ভুনা সহ
 বেশ কিছু উল্ল্যেখযোগ্য খাবার নরসিংদী জেলায় পাওয়া যায়।


নরসিংদী জেলার ঐতিহ্য কী,নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের অনতিদুরে পশ্চিমদিকে 
তরোয়া গ্রামে হযরত কাবুল শাহের মাজার,কুমরাদী গ্রামে হযরত শাহ মনসুরের মাজার,
পাটুলী ইউনিয়নে হযরত শাহ ইরানীর মাজার,ওয়ারী গ্রামে হযরত সোলায়মানের মাজার,
এবং পারুলিয়া দেওয়ান সাহেবের মাজার বিশেষভাবে উলেখযোগ্য।


নরসিংদী মহকুমা কতটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল,নরসিংদী সদর,শিবপুর,পলাশ,মনোহরদী,
রায়পুরাও বেলাব এই গুলো উপজেলা এক সময় মহকুমার অন্তর্ভুক্ত ছিল।


নরসিংদী কত সালে মহকুমার অন্তর্ভুক্ত হয়?
১৯৭৮ সালে। 


নরসিংদী জেলা কত সালে প্রতিষ্টিত হয়?
১৯৮৪ সালে প্রতিষ্টিত হয়।


নরসিংদী জেলার মোট আয়তন কত?
১,১৪০.৭৬ বর্গকিমি।
(৪৪০.৪৬বর্গমাইল)


নরসিংদী জেলার মোট জনসংখ্যা কত?
মোট জনসংখ্যা ১৮,৯৫,৯৮৪।


নরসিংদী জেলার জনঘনত্ব কত?
১৭০০/বর্গকিমি(৪,৩০০/বর্গমাইল)


নরসিংদী জেলার শিক্ষার হার কত?
৪২.০৯%


নরসিংদী জেলার পোস্ট কোড কত?
১৬০০/১৬৩১


নরসিংদী জেলার প্রশাসনিক বিভাগের কোড কত?
৩০৬৭।


নরসিংদী জেলায় কয়টি পৌরসভা আছে?
৫টি।


নরসিংদী জেলার পৌরসভা সমূহের নাম কী,
নরসিংদীসদর,পলাশ,শিবপুর,মনোহরদী,বেলাব এবং রায়পুরা।


নরসিংদী জেলার উপজেলা কয়টি 
৬টি।


নরসিংদী জেলার উপজেলা সমূহের নাম,
নরসিংদী জেলায় ৬টি উপজেলা রয়েছে উপজেলা গুলোর নাম হল,নরসিংদী উপজেলা,
রায়পুরা উপজেলা,বেলাবো উপজেলা,পলাশ উপজেলা,মনোহরদী উপজেলা,শিবপুর উপজেলা.


নরসিংদী জেলায় থানা কয়টি?
৬টি।


নরসিংদী জেলায় থানা সমুহের নাম,
৬টি থানা নিয়ে জেলা গঠিত থানা গুলো হল-নরসিংদী সদর,
পলাশ,শিবপুর,মনোহরদী,বেলাব এবং রায়পুরা।


নরসিংদী জেলার সংসদীয় আসন কয়টি?
৫টি সংসদীয় আসন আছে নরসিংদী জেলায়।


নরসিংদী জেলার সংসদীয় আসন গুলোর নাম কী,রাজধানী ঢাকা শহরের পাশে অবস্থিত,
এ জেলায় ৫টি সংসদীয় আসন রয়েছে,আসন গুলো হল।

জাতীয় নির্বাচনের আসন নং 

জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা

১৯৯ নরসিংদী-১

নরসিংদী সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ব্যতীত।

২০০নরসিংদী-২

পলাশ উপজেলা ও নরসিংদী সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়ন,পাঁচদোনা ইউনিয়ন,মেহেরপাড়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

২০১নরসিংদী-৩

শিবপুর উপজেলা।

২০২নরসিংদী-৪

মনোহদী উপজেলা ও বেলাবো উপজেলা।

২০৩নরসিংদী-৫

রায়পুরা উপজেলা।


নরসিংদী জেলার ইউনিয়ন কয়টি?

৬৯টি।


নরসিংদী জেলার মৌজা কয়টি

৬২৩টি।


নরসিংদী জেলার গ্রাম কয়টি?

১০৫৯টি।


নরসিংদী জেলার লোকসংস্কৃতি,

ইতিহাস ঐ তিহ্য ভরপুর নরসিংদী 

জেলায় বেস কিছু সংস্কৃতি চর্চা লক্ষ্য 

করা যায়, উল্লেখযোগ্য লোকসংস্কতি হল-

দীপান্বিতা,ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া,ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় প্রতি বছর কার্তিকের শুল্কা দ্বিতীয়া তিথিতে

বোনেরা ভাইদের কপালে চন্দন ও কাজল ফোটা দেয়।পুণ্যাহ জামাই ষষ্ঠী উল্লেখযোগ্য।


নরসিংদী জেলার বিখ্যাত খাবার,ফুল পিঠা,তেলের পিঠা,পাটিসাপ্টা,গরুর 
মাংসের ভুনা,শুটকী ভুনা,গরুর মাংসের 
কালা ভুনা,হাঁসের মাংসের ভুনা,সুগন্দই চাল,শিবপুরের রসগোল্লা,কলম্বো লেবু,
সাগর কলা,পেয়ারা ইত্যাদি এ জেলার
বিখ্যাত খাবার।

নরসিংদী জেলায় চিকিৎসা সেবা,
নরসিংদী জেলায় বেশ কিছু হাসপাতাল 
রয়েছে এখানে জেলার সকল মানুষের
 জন্য চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।ডায়াবেটিস হাসপাতাল,
নরসিংদী সদর হাসপাতাল,
জেলা হাসপাতাল, সহ বেশ কিছু 
বেসরকারি ক্লিনিক এখানে গড়ে উঠেছে।

নরসিংদী জেলার অর্থনীতি,প্রাচীন কাল থেকেই এ জেলা অর্থনীতিতে সমৃদ্ধশালী।
তাঁত শিল্প প্রধান হাতিয়ার ছিল,কাপড় উৎপাদনে এ অঞ্চলের সুনাম রয়েছে।
মাদবধী অঞ্চলের মানুষের প্রধান ব্যবসা কাপড় বিক্রি করা।নরসিংদী জেলার বাবুর হাট
পাইকারি বাজার নরসিংদী জেলায় রয়েছে।নরসিংদী জেলায় কিছু মানুষ চাকুরিও 
ব্যবসা বানিজ্য করে থাকে।তবে এ জেলায় কৃষি নির্ভরশীল, 
পাশাপাশি কলকারখানা গড়ে উঠেছে।

নরসিংদী জেলার কাপড় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। 

নরসিংদী কৃষি নির্ভর অর্থনীতি,বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলা কৃষি উৎপাদনে বেশ এগিয়ে,
নরসিংদী জেলা অন্যতম,বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় নরসিংদী জেলার কাচাঁ-মাল রপ্তানি করা হয়।
বেগুন,আলু,টমেটো,কাকরুল,সিম,কড়ল্লা সহ বেশ কিছু কাচাঁমাল এখানে উৎপাদন হয়ে থাকে।

নরসিংদী জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা,ঢাকা-সিলেট-কুমিল্লা-চট্রগামের, হাইওয়ে 
রাস্তা নরসিংদী শহরের উপর দিয়ে চলে গেছে।এ জেলায় ট্রেন দিয়ে ও যাতায়াতের 
করা যায়,বাংলাদেশের যে কোন জেলা থেকে খুব সহজে নরসিংদী জেলায় 
আসা যায়।শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌ-বন্দর রয়েছে,নৌ-বন্ধর 
দিয়ে মালামাল বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪