কেওক্রাডাং বান্দরবান

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সব চেয়ে বেশি দর্শনীয় স্থান হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগে এখানে সাগর,নদী,পাহাড় বৈষ্টিত রয়েছে।বাংলাদেশের উচুঁ উচুঁ তিনটি পাহাড় রয়েছে, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তৃতীয় পর্বত শৃঙ্গ কেওক্রাডাং,বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত।



কেওক্রাডাং পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ১২৩০মিটার বা ৩১৯৬ফুট।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যেভরপুর এখান থেকে মেঘের লীলাভূমি ও পূর্ণিমার দৃশ্য উপভোগ করা যায়।বছরের প্রায় সময় পর্যটকরা ছুটে চলে আসে কেওক্রাডাং পাহাড়ে,এখানে প্রকৃতির সাথে নিজেকে বিলীয়ে দেয়। তাই পর্যটকদের পছন্দরের যায়গা কেওক্রাডাং।


কি দেখতে পাবেন?
কেওক্রাডাং পাহাড়ের চুড়া থেকে থাকালে দেখা মিলে মেঘের সাজ,একটু পরেই সাদা খোয়াশায় আচ্চন্ন হয়ে যায়।সবুজ পাহাড়ের বুকে নেমে আসে আকাশের সাদা,নীল,হলুদ,বেগুনী, রংধনুর সাতটি রং।রাতের বেলায় কেওক্রাডাং পাহাড়ের বুকে পূর্নিমার চাদ নেমে আসে। হিম শীতল বাতাসে ভ্রমনপ্রিয়দের দারুন রোমান্সকর পরিবেশ তৈরি করে তাদের মাঝে।


কিভাবে যাবেন?
ঢাকার সায়েদাবাদ,মহাখালি,ফকিরাপুল থেকে বান্দরবান বাসে করে আসতে হবে।বান্দরবান থেকে রুমা বাজারে এসে,রুমা বাজার থেকে বগালেক হয়ে কেওক্রাডাং।একদিনে কেওক্রাডাং যাওয়া যায় না তবে একদিনে যেতে হলে অনেক কস্ট হবে। যদি দু দিনে যেতে চান তাহলে বগালেক একরাত থেকে পরের দিন যেতে পারবেন।বান্দরবান থেকে রুমা বাজারের দুরুত্ব ৪৮ কিলোমিটার, বাসে,চান্দের গাড়ি করে যাতায়ত করা যায় ভাড়া ১২০ টাকা জনপ্রতি,তবে টিম নিয়ে ঘুরলে ৩০০০-৪০০০হাজার টাকার প্যাকেজে ঘুরে আসতে পারবেন।রুমা বাজার থেকে কেওক্রাডাং যেতে হলে গাইডের সহায়তা নিতে হবে। রুমা বাজার থেকে বগালেকের দুরুত্ব১৭কিলোমিটার।বগালেক পৌছানোর পর সেখানে নিজের পরিচয় লিপিবন্ধ করতে হবে,কারন পাহাড়ি এলাকা যে কোন সমস্যা হলে তারা সহায়তা প্রদান করে থাকে।


থাকবেন ও কোথায় খাবেন?
কেওক্রাডাং যদি রাত কাটাতে চান তাহলে সেখানে আদিবাসীদের কটেজে থাকতে পারবেন।তারা খাবার ও বিক্রি করে থাকে জনপ্রতি খরচ হবে১০০-২০০টাকা।



 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪