ভিমের পান্টি,নওগাঁ জেলা
হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী ভিমের পান্টি
পান্টি
ভিমের পান্টি রহস্যঘেরা একটি পাথর টুকরো।
১৭শতকে জাহানপুর ইউনিয়নের
আশে পাশে বেশ কিছু মন্দির ও অন্য স্থাপনার অস্তিত্ত্ব পাওয়া
গিয়েছে।১৯৭৮সালে
একটি জায়গায় কালো পাথর দেখতে পায় স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
ঢিবির পাশে ভাঙ্গা
দেওয়াল ছিল,ফসলী জমির মাঝে একটি কালো পাথরের লম্বা খন্ড হেলানোভাবে রয়েছে,
পাথরটি ভিমের পান্টি নামে
পরিচিত।
জনশ্রুতি আছে ভীম রাতে জমিতে হাল চাষ করতেন।সূর্য উঠার আগেই ফিরে যেত।
কোন একদিন চাষাবাদ শেষ না হওয়ার আগেই সকাল হয়ে যায়,তড়িগড়ি করে চলে
যাওয়ার কারনে ঢিভির মাঝে কালো পাথর রেখে চলে যায়।
ভীমের পান্টির অবকাঠামো,
বীরেশ্বর-ব্রহ্মচারী ঢিবির দক্ষিণে ৮১ দুরুত্ব অবস্থিত।ভীমের আকৃতি প্রলম্বিত মোচার ন্যায়।
মসৃণ খন্ডটি ৩.৭৯ মিটার উঁচু ও গোড়ার দিকে এর ব্যাস ১.৮০ মিটার।মাথায় এক
সময় পাখির মূর্তি ছিল।ভীমের পান্টির উপরে খোদাই করা সংস্কৃত ভাষায় ২৮ লাইনের
লিপি লিখা আছে,প্রত্নতাত্ত্বিকবিধদের ধারনা পাল যুগের ৮৯৬-৯৫০ খ্রিস্টাব্দে পাথর টি
স্থাপন করা হয়েছে।
অবস্থান:নওগাঁ জেলার ধামুরই হাট উপজেলার প্রাচীন স্তম্ভটি,সংরক্ষিত পুরাকীর্তি,জাহানপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।
কিভাবে যাবেনঃ রাজধানী ঢাকা থেকে বাসে করে নওগাঁ জেলায় যেতে হবে।
কোথায় থাকবেনঃ নওগাঁ জেলায় পর্যটকদের জন্য বেশ যায়গা আছে থাকার মত ভালো মানের হোটেল।
কোথায় খাবেনঃ খানাপিনা সব জায়গায় ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়।
![]() |
ভিমের পান্টি নওগাঁ জেলা |