রাতার গুলো, সিলেট.
বাংলাদেশের অন্যতম সোয়াম্পরেস্ট রাতার গুল সিলেট
গোয়াইঘাটে।প্রাকৃতিক সৌনদর্যে ভরপুর বনটি।রাতার গুল বাংলাদেশের এক মাত্র মিটাপানির একটি বন। এবং বন্যপানী অভয়ারণ্যের বন এটি।প্রায় ৩৩২৫.৬১ একরের মধ্যে ৫০৪ একর বন ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হিসেবে ঘোষনা করেন বন অধিদপ্তর। এবং ২০০৫ সালে ২০৪.২৫ হেক্টর ভূমি কে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা হিসেবে ঘোষনা করেন।
চির সবুজ এ বন টি গোয়াইন-নদীর তীরে এসে অবস্থিত।
গোয়াইন নদী মিলতি হয়েছে সিলেটের সারি নদীর সাথে।
রাতারগুন সোয়াম্পরেস্ট সব চেয়ে বেশি জন্মমায় করচ গাছ,বর্ষাকালে এ বনটি পানিতে ভরপুর থাকে। উদ্ভিদবৈচিত্রঃ মিটাপানির জলাবন টি উদ্ভিদের দু টো স্তর পরিলক্ষিত হয়। উপরের স্তরটি মূলত৷ বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিত নিয়ে গঠিত যেখানে নিচের স্তর টিতে ঘন পাটি পাতার আধিক্য বিদ্যমান।
প্রাণিবৈচিত্রঃ জলমগ্ন বলে এই বনে সাপের আবাস বেশি আছে, জোঁকও শুকনো মৌসুমে থাকে।
আরও আছে, গুইসাপ, সাদা বক,কানাবক, মাছরাঙা, টিয়া ইত্যাদি প্রানীর অস্তিত্ব দেখা মিলে এই বনে।
পর্যটকদের আকর্ষনঃ ডুবিয়ে থাকা গাছ গুলো দেখতে ভিবিন্ন সময়, বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এখানে ভিড় করে পর্যটকের বনের ভিতর ভ্রমন করতে দরকার হয় নৌকার, তবে সেগুলো হাতে বাধা নৌকা।
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে সিলেট, বাস,ট্রেন,প্লেইন দিয়ে যাতায়াত করা যায়।
বাসস্টান্ডঃ ঢাকার সায়েদাবাদ, মহাখালী থেকে সিলেটের যে কোন বাসে করে যাওয়া যায়.
বাস ভাড়াঃ ৩০০-১২০০ টাকার মধ্যে হবে।
রেললাইনে যাতায়াতঃ ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সিলেট গামী যে কোন ট্রেনে করে যাওয়া যাবে. ভাড়া ২৫০-৪০০ টাকা হবে।
প্লেইনঃ ঢাকা সিলেট যাতায়াত করে নিয়মিত বিজনেস ক্লাস বিমান ভাড়া অনলাইনে দেখে নিবেন।
সিলেট আম্বখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি করে যাওয়া যাবে. রাতার গুল -আম্বরখানা থেকে ভাড়া ৩০-৫০ টাকা নিবে জন প্রতি।থাকার যায়গাঃ সিলেট শহরে অনেক ভাল মানের হোটেল আছে, আপনাদের ইচ্ছামত যে কোন মানের হোটেলে থাকতে পারবেন।খাবারঃ সিলেট শহরে অনেক ভাল ভাল নামিদামি হোটেল আছে সেখানে খেতে পারবেন।