নীলাদ্রি লেক

বাংলাদেশের কাশ্মীর, নীলাদ্রি লেক



পরিত্যাক্ত চুনাপাথরের খনির লাইন স্টোন সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার, শ্রীপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বাংলাদেশের কাশ্মীর খ্যাত পর্যটন স্পর্ট। (Niladri Lake) প্রকৃত নাম শহিদ সিরাজ লেক. ভ্রমন প্রিয়দের কাছে নীলাদ্রি নামে অধিক পরিচিত।স্থানীয় লোকেরা স্থান টি কে টেকেরঘাট পাথর কোয়ারি হিসেবে চিনে। নীলাদ্রী লেকের নিজস্ব বৈশিষ্টের জন্য আলাদা পরিচিতি পেয়েছে।

বাংলাদেশের কাশ্মীর খ্যাত নীলাদ্রি, এখান রয়েছে উচুঁ পাহাড়। 

সতর্কতাঃ নীলাদ্রী লেকের গভীরতা বেশি হওয়ায় এখানে সাতাঁর কাটা নিষেধ। তবে লাইফ জ্যাকেট নিয়ে সাতাঁর কাটবেন। স্থানীয় বাজারে কেনাকাটা করার সময় অবশ্যই দরদাম করে কেনাকাটা করে নিবেন।

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় আরও বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ঘুরতে পারবেন একদিনে। শিমুল বাগান দেখার পর যাদুকাটা নদীর ওপারে শারফিন মাজার রয়েছে। এপারে বারিক্কা টিলা যাদুকাটা নদী। ।বারিক্কা টিলা দেখার পর নিলাদ্রি চলে যাবেন মোটর সাইকেল যুগে। সেখানে আরও বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পর্ট আছে।


যেভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে দুই ভাবে নীলাদ্রি লেকে যাতায়াত করা যায়।

রোড নাম্বার ১ ঢাকা থেকে প্রতিদিন সুনামগঞ্জ জেলা শহরে অনেক বাস যাতায়াত করে নিয়মিত।
সায়েদাবাদ বাস কাউন্টার থেকে, হানিফ, শ্যামলী বা মিতালী যোগে যেতে পারবেন। মহাখালী থেকে এনা বাসে করে সুনামগঞ্জ যেতে পারবেন। সময় লাগবে ৬ ঘন্টা, কম বেশি হতে পারে। ভাড়া বর্তমান বাজার মুল্য অনুযায়ী নির্ধারন থাকে।

রোড নাম্বার ২. ঢাকা থেকে হাওর এক্সপ্রেস নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ নিয়মিতভাবে যাতায়াত করে।মোহনগঞ্জে আসতে ট্রেনের ভাড়া ২০০ টাকা জনপ্রতি। মোহনগঞ্জ থেকে মধ্য নগর আসতে সময় লাগবে ১ ঘন্টা, মধ্য নগর (পিপাড়াকান্দা) থেকে লঞ্চ বা স্পীড বোড করে টেকেরঘাট আসতে পারবেন। তবে বর্ষার সময় নেত্রকোনা থেকে আসা খুব সহজ।


রোড নাম্বার ৩ বর্ষাকালে সুনামগঞ্জ থেকে টাংগুয়ার হাওরের টেকেরঘাট যেতে হবে। সুনামগঞ্জ নেমে সুরমা ব্রীজ থেকে মোটর সাইকেল বা সি এন জি করে যাওয়া যায়।

রোড নাম্বার ৪ : শুকনো মৌসুমে সুনামগঞ্জ থেকে মোটর সাইকেল বা সি এন জি দিয়ে লাউয়েরগড় বাজারে আসবেন। মোটরসাইকেল ভাড়া জন প্রতি ১৫০ টাকা। সি এনজি দিয়ে আসলে জনপ্রতি ভাড়া ১২০ টাকা।লাউয়েরগড় বাজার থেকে পায়ে হেটে নৌঘাটে আসবেন। কেয়া পারাপার জনপ্রতি ১০ টাকা। কেয়া ঘাট পার হয়ে বারিক্কা টিলায় এখানে মোটর সাইকেল দিয়ে, খুব সহজে যেতে পারবেন।

থাকার জায়গা, বড়ছড়া বাজারে ইচ্ছা করলে রাত্রি যাপন করতে পারবেন, ভাড়া ২০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে রুম পাওয়া যায়।
খাবার ব্যবস্থা, স্থানীয় বড়ছড়া বাজারে খাবার খেতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪