ঐতিহ্যবাহী হবিগঞ্জের আসামপাড়া বাজার

আসামপাড়া বাজার হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার আহমদাবাদ ইউনিয়নের অন্তর্গত একটি বিখ্যাত বাজার। বাজারটি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। ভারতের আসাম রাজ্যের সন্নিকটে থাকার কারণে এ বাজারের নামকরণ হয়েছে আসামপাড়া বাজার। এ বাজারটি চুনারুঘাট উপজেলার অন্তর্ভুক্ত হলেও সীমান্তবর্তী এলাকার বাজার হওয়ায় ভারতের আসাম অঞ্চলের সাথে এটির একটি ঐতিহাসিক ও সামাজিক যোগাযোগ রয়েছে।

আসামপাড়া বাজারের উৎপত্তি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো দলিল না থাকলেও এটি মূলত সীমান্ত এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য গড়ে উঠেছে। বাজারটির নাম "আসামপাড়া" হওয়ার প্রধান কারণ হলো এর অবস্থান ভারতের আসামের নিকটবর্তী, এবং ঐতিহাসিকভাবে সীমান্তবর্তী জনগোষ্ঠীর বাণিজ্যিক প্রয়োজন পূরণের জন্য এ বাজারটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

আসামপাড়া বাজারে ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য এক সময় পাওয়া যায়। তবে এখন আর কোন ধরনের পণ্য পাওয়া যায় না।
আসামপাড়া বাজারে, কৃষিপণ্য, চাল, ডাল, সবজি, শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি।গবাদি পশু: বিভিন্ন ধরনের গবাদি পশু কেনাবেচার জন্য এ বাজারটি পরিচিত। স্থানীয় মসলার বিশাল সমাহার পাওয়া যায়।ইলেকট্রনিক সামগ্রী।
আসামপাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের গাছ পাওয়া যায়।এখানে বিভিন্ন ধরনের কাঠের ফার্নিচার পাওয়া যায়।

আসামপাড়া বাজার থেকে গাড়ি দিয়ে সেখানের দর্শনীয় স্থান দেখা যায়। গাজী কালুর মাজার, চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। বাল্লাস্থলবন্দর  বাংলাদেশের ৩২ তম স্থলবন্দর আসামপাড়া বাজার দিয়ে যেতে হয় বাল্লাস্থলবন্দরে  টমটম অথবা সি এন জি দিয়ে যাওয়া যায়। আশে পাশে বাল্লা রেলস্টেশন এবং ভারতের খোয়াই শহর দেখা যায় বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে। আসামপাড়া বাজার থেকে সি এন জি দিয়ে খুব সহজে  হবিগঞ্জ শহরে আসা যায়।চুনারুঘাট উপজেলা শহর থেকে ও হবিগিঞ্জের নতুন ব্রীজ গোল চত্বরে আসা যায়।