বাংলাদেশীদের জন্য মালয়েশিয়ার ভ্রমণ গাইড ২০২৪


মালয়েশিয়া ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে বিমান ভ্রমণ এবং প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো

১. বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় বিমান ভ্রমণ:
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় ভ্রমণ করার জন্য বিমানের টিকেট ক্রয় করতে হবে যেখানে বিমানের টিকেট বিক্রি করে। তারপর আপনাকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে ফ্লাইট নিতে হবে। ঢাকা থেকে সরাসরি কুয়ালালামপুরে ফ্লাইট পাওয়া যায়। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস যেমন, বাংলাদেশ বিমান, মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস, এয়ার এশিয়া, ইত্যাদি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে। ভিসা এবং ইমিগ্রেশন নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে।
২.মালয়েশিয়া এরাইভাল কার্ড কি: অন এরাইভাল কার্ড হলো একটি ফরম যা বিদেশি পর্যটকদের ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে ফিলআপ করতে হয়। এটি মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে আপনার সম্পর্কে তথ্য দিতে সহায়তা করে। 
৩. মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের আগে অন এরাইভাল কার্ড কেন করতে হয়: ইমিগ্রেশনের আগে অন এরাইভাল কার্ড পূরণ করতে হয় যেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং ভিসার স্ট্যাটাস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে। এটি ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া দ্রুত এবং সহজ করার জন্য প্রয়োজন।
৪. অনলাইনে অন এরাইভাল কার্ডের আবেদন যেভাবে করতে হয়,  মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ওয়েব সাইটে প্রবেশ করার পর সেখানে অন এরাইভ্যাল একটি ফরম আছে, সেখানে আপনার নাম,পাসপোর্ট নম্বর‍, বিমান টিকেট, নাম্বার, আপনার হোটেল, বা হাউজের ঠিকানা দিবেন, কত তারিখ মালয়েশিয়া প্রবেশ করবেন। কত দিন সেখানে অবস্থান করবেন সকল তথ্য দিতে হবে। এবং কত দিন পর মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে চলে আসবেন এ সকল তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করে নিবেন। আবেদন করা হয়ে গেলে ডাউনলোড করে মোবাইলে রেখে দিবেন অথবা এক কপি প্রিন্ট করে নিবেন। লিংকে প্রবেশ করে আবেদন করুন Malaysia On arrival card link


৫. মালয়েশিয়া ট্যুর প্ল্যান: মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের জন্য একটি ভালো ট্যুর প্ল্যান করতে হলে আপনার সময় এবং বাজেট বিবেচনা করতে হবে। সাধারণত কুয়ালালামপুর থেকে শুরু করে ল্যাংকাউই, পেনাং, ক্যামেরন হাইল্যান্ডস, এবং মলাক্কা ভ্রমণ জনপ্রিয়। আপনি চাইলে কিছু সুন্দর দ্বীপে ভ্রমণের পরিকল্পনাও করতে পারেন, যেমন: টিয়োমান আইল্যান্ড, পারহেন্টিয়ান দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি।
৬. মালয়েশিয়ার দর্শনীয় স্থানগুলো:
  • পেট্রোনাস টাওয়ারস
  •  কুয়ালালামপুর
  • বাতু গুহা
  • ক্যামেরন হাইল্যান্ডস
  • ল্যাংকাউই দ্বীপপুঞ্জ
  • পেনাং জর্জ টাউন
  • কুয়ালালামপুর বার্ড পার্ক
  • লেগোল্যান্ড মালয়েশিয়া
  •  জোহর বাহরু


৭. মালয়েশিয়ার পর্যটন স্পটসমূহ এবং এলাকা: কুয়ালালামপুর, ল্যাংকাউই, পেনাং, এবং মলাক্কা পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় স্পট। কুয়ালালামপুরে আধুনিক শহরের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়, আর ল্যাংকাউই ও পেনাং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য খ্যাত।


৮. বাংলাদেশীরা মালয়েশিয়ার কোন এলাকায় বেশি ঘুরতে যায়:
বাংলাদেশীরা সাধারণত কুয়ালালামপুর, ল্যাংকাউই, পেনাং এবং মলাক্কায় ভ্রমণ করে। বিশেষ করে কুয়ালালামপুরের পেট্রোনাস টাওয়ারস এবং ল্যাংকাউইয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়।
৯. কম খরচে হোটেল বুকিং: অনলাইনে হোটেল বুকিং সাইট যেমন Booking.com, Agoda, বা Airbnb ব্যবহার করে হোটেল বুক করলে সাশ্রয়ী দামে ভালো মানের হোটেল পাওয়া যায়। আগাম বুকিং করলে আরও কম খরচে থাকার ব্যবস্থা করা যায়।
১০. মালয়েশিয়ায় খাবারের দাম: মালয়েশিয়ায় খাবারের দাম তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী। সাধারণ খাবারের জন্য ১০ থেকে ২৫ রিঙ্গিতের মধ্যে খরচ হয়। স্থানীয় স্ট্রিট ফুড আরো সস্তা, যেমন ৫ থেকে ১০ রিঙ্গিতের মধ্যে ভাল খাবার পাওয়া যায়।


১১. মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট, কুয়ালালামপুর এবং সেলাঙ্গর এলাকায় বেশ কিছু বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট পাওয়া যায়। বিশেষ করে বুকিত বিনতাং এবং চৌকিত এলাকায় বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টের সংখ্যা বেশি।


১২. মালয়েশিয়ায় গাড়ির যাতায়াত ভাড়া:

মালয়েশিয়ায় পাবলিক ট্রান্সপোর্ট খুবই সাশ্রয়ী। বাস এবং ট্রেনের জন্য ১ থেকে ৫ রিঙ্গিত খরচ হয়। ট্যাক্সির ভাড়া তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে, Grab (অনলাইন রাইড শেয়ার) ব্যবহার করলে সাশ্রয়ী মূল্যে যাতায়াত করা যায়।


১৩. কম টাকায় বেশি জায়গা ঘুরতে কোন গাড়ি: পাবলিক বাস বা মেট্রো রেল ব্যবহার করলে কম খরচে বেশি জায়গায় যাওয়া যায়। কুয়ালালামপুরের জন্য মেট্রো রেল ব্যবহার খুবই জনপ্রিয় এবং সাশ্রয়ী।


১৪. মেট্রোরেল ব্যবহারের নিয়ম: মালয়েশিয়ার মেট্রোরেল ব্যবহারের জন্য, স্টেশনে গিয়ে টিকেট কিনে নিতে হয় অথবা মালয়েশিয়ার "Touch 'n Go" কার্ড ব্যবহার করা যায়। প্রতিটি স্টেশনের প্রবেশে এবং বহির্গমনে কার্ড বা টিকিট ব্যবহার করতে হয়।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪