বাংলাদেশীদের জন্য সিঙ্গাপুর ভ্রমণ গাইড ২০২৪

Singapore travel information

সিঙ্গাপুর ভ্রমন পরিকল্পনা, সিঙ্গাপুর কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কি কি দেখবেন বিস্তারিত আলোচনা


বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার নিয়ম এবং সিঙ্গাপুরে ভ্রমণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত বেশ কয়েকটি বিমান ডাইরেক্ট প্লাইট রয়েছে, এগুলো দিয়ে যেতে পারবেন, অথবা কম টাকায় যেতে চাইলে ট্রানজিট বিমান দিয়ে যেতে পারেন।


ভিসা: সিঙ্গাপুর ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা প্রয়োজন। সিঙ্গাপুরের দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে হয়।
Singapore On Arrival card, কি? সিঙ্গাপুর যারা যাবেন তারা অবশ্যই অনএরাইভ্যাল কার্ড অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অন এরাইভ্যাল কার্ড আবেদন করা থাকলে সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে আপনাকে কোন ধরনের ঝামেলায় পড়তে হবে না। 


অনলাইনে আবেদন করা খুব সহজ নিয়মে কার্ডটি পূরণ করতে পারবেন নিজেই অথবা অন্যের সাহায্য নিয়ে অন এরাইভ্যাল কার্ড করতে পারবেন। Link: https://www.ica.gov.sg/enter-transit-depart/entering-singapore/sg-arrival-card
এই লিংকে গিয়ে যেভাবে ফরম পূরণ করবেন।
আপনার নাম, পাসপোর্ট নাম্বার, বিমান টিকেট নম্বর, সিঙ্গাপুর গিয়ে যে হোটেলে থাকবেন হোটেলের ঠিকানা বা বাসার ঠিকানা, কত দিন সিঙ্গাপুর অবস্থান করবেন। সিঙ্গাপুর থেকে কোন দেশে যাবেন, যে দেশে যাবেন সে দেশে বিমান দিয়ে যাবেন না বাস দিয়ে যাবেন সকল তথ্য এখানে দিয়ে আবেদন করলেই On arrival car ডাউনলোড করে মোবাইলে রেখে দিবেন অথবা এক কপি প্রিন্ট করে হাতে রেখে দিবেন। 
২. সিঙ্গাপুর টুর প্ল্যান:
ভ্রমণের সময়: সিঙ্গাপুর সারা বছরই ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত, তবে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত শীতল মৌসুমে ভ্রমণ করলে আরামদায়ক হতে পারে।
ভ্রমণ দৈর্ঘ্য: ৪-৫ দিনের প্ল্যান করলে সিঙ্গাপুরের প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে পারবেন।
ট্যুর প্যাকেজ: বাংলাদেশ থেকে অনেক ট্যুর অপারেটর সিঙ্গাপুরের জন্য প্যাকেজ অফার করে, যেখানে ফ্লাইট, হোটেল, এবং কিছু দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হয়।



৩. সিঙ্গাপুরের দর্শনীয় স্থানসমূহ:
মেরলিয়ন পার্ক: সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত মেরলিয়ন মূর্তিটি এখানেই অবস্থিত।
গার্ডেনস বাই দ্য বে: দৃষ্টিনন্দন ফুল এবং গাছপালার উদ্যান।
মেরিনা বে স্যান্ডস: বিলাসবহুল হোটেল, শপিং মল এবং ক্যাসিনো।
সিঙ্গাপুর চিড়িয়াখানা (Singapore Zoo): প্রাণীজগতের অসাধারণ প্রদর্শনী।
সেন্টোসা আইল্যান্ড: বিনোদনের জন্য বিশেষ স্থান, সমুদ্র সৈকত ও থিম পার্ক।
ইউনিভার্সাল স্টুডিওস: বিনোদনমূলক থিম পার্ক, যা শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্য উপযুক্ত।
চাঙ্গি বিমান বন্দর ও অনেক সুন্দর সেটি দেখার জন্য প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক ছুটে যায় চাঙ্গি বিমান বন্দরে।
৪. সিঙ্গাপুর হোটেল বুকিং: সিঙ্গাপুর হোটেল বুকিং অনলাইনে দেওয়া যায়, বিশ্বের বেশ কয়েকটি নামি দামি হোটেল বুকিং ওয়েব সাইট থেকে হোটেল বুকিং দিলে কম টাকায় বুকিং দিতে পারবেন।

হোটেলের খরচ: সিঙ্গাপুরের হোটেলগুলোতে থাকার খরচ স্থান, মান এবং সুবিধার উপর নির্ভর করে। সাধারণত প্রতি রাতের জন্য একটি ৩-৪ তারকা হোটেলের খরচ হতে পারে ৮০-১৫০ সিঙ্গাপুর ডলার। আর যদি কম টাকায় থাকতে চান তাহলে প্রতি রাতে ২০-৪০ ডলার হবে। তবে রুম গুলো একটার উপর আরেকটা বেড থাকবে।
সিম কিনার নিয়ম: সিঙ্গাপুরে ভ্রমনের জন্য সেখান থেকে ১০-২০ ডলার দিয়ে একটি সিম কিনে নিবেন, সিম দিয়ে ২০০ জিবি ডাটা পাবেন ইচ্ছেমত ব্যবহার করতে পারবেন। এবং কল করার জন্য পর্যাপ্ত মিনিট পাবেন ইন্টারন্যাশনাল কল করার জন্য 
৫. সিঙ্গাপুরে খাবারের দাম:
স্ট্রিট ফুড: সিঙ্গাপুরে প্রচুর স্ট্রিট ফুড রয়েছে যেখানে হালকা খাবার ৫-১০ সিঙ্গাপুর ডলারের মধ্যে পাওয়া যায়।
রেস্তোরাঁ: মাঝারি মানের রেস্তোরাঁতে খেতে গেলে জনপ্রতি ১০-৩০ সিঙ্গাপুর ডলার খরচ হতে পারে। প্রতি বেলা খাবারে।বাংলাদেশি খাবার: সিঙ্গাপুরে কিছু বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ রয়েছে যেখানে পরিচিত স্বাদের খাবার পাওয়া যায়।
বাংলাদেশীদের জন্য বাংলা খাবার পাওয়া যায় মোস্তফা সেন্টারে এখানে বেশ কয়েকটি বাংলা রেস্টুরেন্ট রয়েছে পছন্দমত খাবার খেতে পারবেন।
৬. সিঙ্গাপুরে গাড়ি দিয়ে যাতায়াত:
ট্যাক্সি: সিঙ্গাপুরে ট্যাক্সি সার্ভিস বেশ সহজলভ্য এবং নির্ভরযোগ্য। ট্যাক্সি ভাড়া মিটারের মাধ্যমে নেওয়া হয়, এবং প্রতি কিলোমিটারে ৩-৫ সিঙ্গাপুর ডলার হতে পারে।
রাইড শেয়ারিং: সিঙ্গাপুরে Grab এবং Gojek এর মতো রাইড শেয়ারিং সার্ভিস জনপ্রিয়। এদের অ্যাপের মাধ্যমে রাইড বুক করা যায়।

৭. সিঙ্গাপুর মেট্রোরেল দিয়ে যাতায়াত:
MRT ট্রেইন সিঙ্গাপুরের জন্য জনপ্রিয় এবং কম টাকায় ঘুরা যায়। সেখানে MRT স্টেশন থেকে একটি ২০ ডলার দিয়ে কার্ড কিনবেন। এবং সেটা দিয়ে খুব সহজে চলাফেরা করবেন।

৮. সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়া বাসে যাতায়াত:
বাস সার্ভিস: সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বা জোহর বাহরুতে বাসে সহজেই যাওয়া যায়। বেশ কয়েকটি বাস কোম্পানি যেমন Causeway Link, Transtar Travel বাস সার্ভিস প্রদান করে।
বাস টিকিট: বাসের টিকিট অনলাইনে কিংবা বাস টার্মিনাল থেকে কেনা যায়। ভাড়া সাধারণত ২০-৪০ সিঙ্গাপুর ডলারের মধ্যে হয়।
পাসপোর্ট এবং ভিসা: মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের মালয়েশিয়ার ভিসা প্রয়োজন।
ইমিগ্রেশন: সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া সীমান্ত পারাপারের সময় ইমিগ্রেশন চেকিং হয়, তাই পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রাখতে হবে।
উপসংহার: সিঙ্গাপুর ভ্রমণের জন্য বেশ পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। সঠিক তথ্য ও পূর্ব প্রস্তুতির মাধ্যমে আপনি সিঙ্গাপুর এবং আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে সহজেই ভ্রমণ করতে পারবেন।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪