কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান, ইতিহাস ও ঐতিহ্য
কক্সবাজার বাংলাদেশের চট্রগাম বিভাগের প্রশাসনিক অঞ্চল,এ জেলায়
বিশ্বের সর্বোচ্চ দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত অবস্থিত।কক্সবাজার জেলার
সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসে।
কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান
বিভিন্ন উপজাতি,নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর
বসবাস বৈচিত্রময়,জেলায় বেশ কিছু জনপ্রিয়
পর্যটন স্পর্ট রয়েছে।লাবনী বীচ,সুগন্ধা বীচ,কলাতলী বীচ,হিমছড়ি ইনানী বীচ,
মেরিন রোড,সেন্টমার্টিন,রামু বৌদ্ধ বিহার,মহেশখালী,সোনাদিয়া দ্বীপ,
কুতুবদিয়া দ্বীপ।উখিয়া,কক্সবাজার সদর,কুতুবদিয়া,চকরিয়া,ট্রকনাফ,
পেকুয়া,মহেশখালী,রামু,ঈদগাও.
কক্সবাজার জেলার মানচিত্র
দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২০°৩৫' থেকে ২১°৫৬' উত্তরে অক্ষাংশে ৯১°৫০'থেকে ৯২°২৩'পূর্ব দ্রাঘিমাংশ
জুড়ে কক্সবাজার জেলার অবস্থান।উত্তরে চট্রগ্রাম জেলা,পূর্বে বান্দরবান জেলা ও নাফ নদী
এবং মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ,দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।
কক্সবাজার জেলার পরিচিতি ও নামকরণের ইতিহাস,কক্সবাজার জেলার নামটি
এসেছে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক অফিসারের
নাম থেকে।কক্সবাজার জেলার পূর্ব নাম ছিল,পালংকি।১৭৭৩ জারি হওয়ার পর
ওয়ারেন্ট হোস্টিং বাংলার গভর্নর নিয়োগ প্রাপ্ত হন।তখন হিরাম কক্স পালংকির
মহাপরিচালক নিযুক্ত হন।ক্যাপ্টেন কক্স আরাকান শরনার্থীদের পূনর্বাসনের
জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন,তবে পুরোপুরি শনার্থীদের পূর্ণবাসনের কাজ শেষ হওয়ার
আগেই তিনি মারা যান(১৭৯৯)সালে।তার পূর্নবাসন কে স্বরণীয় করে রাখতে
একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয়।
কক্সবাজার জেলার ইতিহাস
কক্সবাজার জেলা ১৮৫৪ সালে থানা গঠিত হয়।টেকনাফ,চকরিয়া মহেশখালী থানার
সমন্বয়ে কক্সবাজার মহকুমা গঠিত হয়।টেকনাফ থেকে উকিয়া মহেশখালী
কুতুবদিয়া এবং কক্সবাজার সদর থেকে রামু থানাকে পৃথক করে নতুন তিনটি থানা গঠিত হয়েছিল।
কক্সবাজার মহকুমা কবে প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৫৪সালে কক্সবাজার,চকরিয়া,মহেশখালীও টেকনাফ থানার
সমন্বয়ে কক্সবাজার মহকুমা গঠিত হয়।
কক্সবাজার থানা কবে প্রতিষ্ঠা হয়
১৮৫৪ সালে কক্সবাজার থানা প্রতিষ্ঠা হয়।
কক্সবাজার পৌরসভা কবে প্রতিষ্ঠা করা হয়?
১৯৭২সালে।
কক্সবাজার জেলার বিখ্যাত খাবার
কক্সবাজার জেলা কে শুটকীর স্বর্গ বলা হয়ে থাকে,এখানে সারা বছর শুটকি
উৎপাদন করা হয়,সারা দেশে রপ্তানি করা হয় কক্সবাজার জেলার শুটকি।
কক্সবাজার জেলায় পর্যটকেরা শখের বসে সামুদ্রিক কাকড়া,মাছ,
মিষ্টি পান খেয়ে থাকে।
কক্সবাজার জেলার মোট আয়তন কত
মোট আয়তন,২৪৯১.৬৮বর্গকিমি।
কক্সবাজার জেলার মোট জনসংখ্যা কত?
২০১১সালের আদমশুমারী অনু্যায়ী
২,২৮৯,৯৯০ জন।
কক্সবাজার জেলার পুরুষের সংখ্যা কত?
পুরুষের সংখ্যা ১১,৯৭,০৭৮জন।
কক্সবাজার জেলার নারীর সংখ্যা কত?
১০,৯২,৯১২জন।
কক্সবাজার জেলার প্রতি বর্গ কিলোমিটারে কতজন বসবাস করে?
প্রায় ৯২০জন।
কক্সবাজার জেলায় কোন ধর্মের কতজন বসবাস করে
ইসলাম ৯৩%
হিন্দু ৫%
বৌদ্ধ্য ১.৮%
খ্রিষ্ট ধর্ম ০.২%
কক্সবাজার জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব কত
৯,১০০/বর্গকিমি(২৪,০০০/বর্গমাইল)
কক্সবাজার জেলার সময়,অঞ্চল কত?
বিএসটি(ইউটিসি+৬)
কক্সবাজার জেলার পোস্ট কোড কত?
৪৭০০।
কক্সবাজার কোন বিভাগে অবস্থিত?
কক্সবাজার,চট্রগাম বিভাগের একটি জেলা।
কক্সবাজার জেলায় কোন কোন উপজাতির বসবাস বেশি,রাখাইন উপজাতির বসবাস
বেশি কক্সবাজার জেলায়।
রামু বৌদ্ধ মন্দির কোন জেলায় অবস্থিত?
কক্সবাজার জেলায় রামু বৌদ্ধ মন্দির অবস্থিত।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত কোন জেলার অবস্থিত?
কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত কত মাইল দের্ঘ্য?
১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার কত কিলোমিটার?
৪১৪কি.মি.
চট্রগাম জেলা থেকে কক্সবাজার কত কিলোমিটার দূরে?
১৫২ কিঃমিঃ.
কক্সবাজার থেকে সাজেক কত কিলোমিটার?
৬২কিলোমিটার।
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ কত কিলোমিটার?
৭৮.৮কিলোমিটার।
সিলেট থেকে কক্সবাজার কত কিলোমিটার?
৫০৬.৯ কিলোমিটার।
কক্সবাজার জেলার শিক্ষার হার কত?
কক্সবাজার জেলায় গড় শিক্ষার হার ৩৯.৩০%
এখানে ইস্কুল,কলেজ,মেডিকেল কলেজ,স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র,মাদ্রাসা,মসজিদ রয়েছে।
কক্সবাজার জেলায় কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেনি।
কক্সবাজার জেলার উপজেলা কর্য়টি?
কক্সবাজার জেলায় ৯টি উপজেলা রয়েছে।
কক্সবাজার জেলার উপজেলা সমূহের নাম কী,
কক্সবাজার জেলায় ৯টি উপজেলা রয়েছে,উপজেলা গুলো হল,উখিয়া উপজেলা,
কক্সবাজার সদর উপজেলা,কুতুবদিয়া উপজেলা,চকরিয়া উপজেলা,
টেকনাফ উপজেলা,পেকুয়া উপজেলা,মহেশখালী উপজেলা,
রামু উপজেলা,ঈদগাঁও উপজেলা।
কক্সবাজার জেলার থানা কয়টি?
কক্সবাজার জেলায় ৯টি থানা রয়েছে।
কক্সবাজার জেলার থানা সমূহের নাম কী,কক্সবাজার জেলায় ৯টি থানা রয়েছে
থানা গুলো হল,উখিয়া,কক্সবাজার সদর,কুতুবদিয়া,চকরিয়া,
টেকনাফ,পেকুয়া,মহেশখালী,রামু,ঈদগাঁ।
কক্সবাজার জেলার সংসদীয় আসন কয়টি?
কক্সবাজার জেলায় সংসদীয় আসন ৪টি।
কক্সবাজার জেলার সংসদীয় আসনের নাম কী,কক্সবাজার জেলায় ৪টি সংসদীয় আসন আছে,আসন গুলো হল।
কক্সবাজার জেলা কোন জনপদের অন্তর্ভুক্ত?
নবম শতাব্দীর গোড়ার দিকে মুগল অধিগ্রহনের আগ পর্যন্ত( ১৬১৬)কক্সবাজার
সহ চট্রগ্রামের একটি বড় অংশ আরাকান রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
কক্সবাজার জেলায় কয়টি ইউনিয়ন আছে?
৭১টি ইউনিয়ন আছে।
কক্সবাজার জেলা কতটি মৌজার অন্তভুক্ত?
১৮৮টি
কক্সবাজার জেলায় কয়টি গ্রাম আছে?
৯৯২টি গ্রাম আছে।
কক্সবাজার জেলার শিক্ষার হার কত?
৩৯.৩০% শিক্ষার হার.
কক্সবাজার জেলার পোস্ট কোড কত?
৪৭০০।
কক্সবাজার জেলার প্রশাসনিক কোড কত?
২০২২।
নদ-নদী-কক্সবাজার জেলার,
মাতামুহুরী,বাঁকখালী,রেজু খাল,মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নাফ নদী,
কুতুবদিয়া ও মখেশখালী দ্বীপ কক্সবাজার কে আলাদা করেছে।কুতুবদিয়া চ্যানেল
এ মহেশখালী চ্যানেল আবার মহেশখালি উপজেলা থেকে মাতারবাড়ি ধলঘাট
ইউনিয়নদ্বয় কে পৃথক করেছে কোহেলিয়া নদী।
প্রধান বন-কক্সবাজার জেলার
কক্সবাজার জেলায় বেশ কয়েকটি বন রয়েছে উল্লেখযোগ্য বন গুলো হল।
মহেশখালি,কুতুবদিয়া,সোনাদিয়া,সেন্টমার্টিন,শাহপরীর দ্বীপ,মাতারবাড়ি,
ছেড়া দ্বীপ,ফুলছড়ি রেঞ্জ,ভুমারিয়ারঘোনা রেঞ্জ,মেহেরঘোনা রেঞ্জ,বাকখালী রেঞ্জ।
কক্সবাজার জেলায় কী কী ভাষা প্রচলিত?
বাংলা ৯৯%
রাখাইন ভাষা০.৩%
অন্যান্য ভাষা০.৭%
কক্সবাজার জেলা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
১৯৮৪সালে ১মার্চ।
কক্সবাজার জেলার অর্থনীতি কী,
কক্সবাজার জেলার প্রধান পেশা কৃষি,মৎস্যজীবি, শ্রমিক,মজুর,চাকুরিজীবি,ব্যবসায়ী,অন্যান্য।
প্রধান শস্য কী-কক্সবাজার জেলার
ধান,আলু,ডাল,পিয়াজ,হলুদ,আদা,গম,
আখ,তামাক,রাবার,সবজী,পান,সুপারি,ইত্যাদি কক্সবাজার জেলার প্রধান শস্য।
খনিজ সম্পদ কী আছে-কক্সবাজার জেলায়
গ্যাস,জিরকন,লিমেনাইট,রুটাইল,ম্যাগনেটাইট,মোনাজাইট,কোরালিন,লাইমস্টোন।
কক্সবাজার জেলার প্রধান ফল কী,
আম,কাঠাল,আনারস,কলা,পেপে,
নারিকেল,লিচু,পেয়ারা,তাল।
কক্সবাজার জেলার রপ্তানী পন্য কী কী,
পান,সুপারি,কাঠাল,কলা,পেপে,আনারস,
চীনাবাদাম,কাঠ,চিংড়ি,শুটকি,লবণ,তামাক,
মাছ,নারিকেল,রাবার।
কক্সবাজার জেলার যাতায়াত:বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খুব
সহজে সড়ক পথ দিয়ে কক্সবাজার খুব সহজে যাওয়া যায়।
কক্সবাজার জেলায় ৯টি উপজেলা রয়েছে,উপজেলা গুলো হল,উখিয়া উপজেলা,
কক্সবাজার সদর উপজেলা,কুতুবদিয়া উপজেলা,চকরিয়া উপজেলা,
টেকনাফ উপজেলা,পেকুয়া উপজেলা,মহেশখালী উপজেলা,
রামু উপজেলা,ঈদগাঁও উপজেলা।
কক্সবাজার জেলার থানা কয়টি?
কক্সবাজার জেলায় ৯টি থানা রয়েছে।
কক্সবাজার জেলার থানা সমূহের নাম কী,কক্সবাজার জেলায় ৯টি থানা রয়েছে
থানা গুলো হল,উখিয়া,কক্সবাজার সদর,কুতুবদিয়া,চকরিয়া,
টেকনাফ,পেকুয়া,মহেশখালী,রামু,ঈদগাঁ।
কক্সবাজার জেলার সংসদীয় আসন কয়টি?
কক্সবাজার জেলায় সংসদীয় আসন ৪টি।
কক্সবাজার জেলার সংসদীয় আসনের নাম কী,কক্সবাজার জেলায় ৪টি সংসদীয় আসন আছে,আসন গুলো হল।
কক্সবাজার জেলা কোন জনপদের অন্তর্ভুক্ত?
নবম শতাব্দীর গোড়ার দিকে মুগল অধিগ্রহনের আগ পর্যন্ত( ১৬১৬)কক্সবাজার
সহ চট্রগ্রামের একটি বড় অংশ আরাকান রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
কক্সবাজার জেলায় কয়টি ইউনিয়ন আছে?
৭১টি ইউনিয়ন আছে।
কক্সবাজার জেলা কতটি মৌজার অন্তভুক্ত?
১৮৮টি
কক্সবাজার জেলায় কয়টি গ্রাম আছে?
৯৯২টি গ্রাম আছে।
কক্সবাজার জেলার শিক্ষার হার কত?
৩৯.৩০% শিক্ষার হার.
কক্সবাজার জেলার পোস্ট কোড কত?
৪৭০০।
কক্সবাজার জেলার প্রশাসনিক কোড কত?
২০২২।
নদ-নদী-কক্সবাজার জেলার,
মাতামুহুরী,বাঁকখালী,রেজু খাল,মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নাফ নদী,
কুতুবদিয়া ও মখেশখালী দ্বীপ কক্সবাজার কে আলাদা করেছে।কুতুবদিয়া চ্যানেল
এ মহেশখালী চ্যানেল আবার মহেশখালি উপজেলা থেকে মাতারবাড়ি ধলঘাট
ইউনিয়নদ্বয় কে পৃথক করেছে কোহেলিয়া নদী।
প্রধান বন-কক্সবাজার জেলার
কক্সবাজার জেলায় বেশ কয়েকটি বন রয়েছে উল্লেখযোগ্য বন গুলো হল।
মহেশখালি,কুতুবদিয়া,সোনাদিয়া,সেন্টমার্টিন,শাহপরীর দ্বীপ,মাতারবাড়ি,
ছেড়া দ্বীপ,ফুলছড়ি রেঞ্জ,ভুমারিয়ারঘোনা রেঞ্জ,মেহেরঘোনা রেঞ্জ,বাকখালী রেঞ্জ।
কক্সবাজার জেলায় কী কী ভাষা প্রচলিত?
বাংলা ৯৯%
রাখাইন ভাষা০.৩%
অন্যান্য ভাষা০.৭%
কক্সবাজার জেলা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
১৯৮৪সালে ১মার্চ।
কক্সবাজার জেলার অর্থনীতি কী,
কক্সবাজার জেলার প্রধান পেশা কৃষি,মৎস্যজীবি, শ্রমিক,মজুর,চাকুরিজীবি,ব্যবসায়ী,অন্যান্য।
প্রধান শস্য কী-কক্সবাজার জেলার
ধান,আলু,ডাল,পিয়াজ,হলুদ,আদা,গম,
আখ,তামাক,রাবার,সবজী,পান,সুপারি,ইত্যাদি কক্সবাজার জেলার প্রধান শস্য।
খনিজ সম্পদ কী আছে-কক্সবাজার জেলায়
গ্যাস,জিরকন,লিমেনাইট,রুটাইল,ম্যাগনেটাইট,মোনাজাইট,কোরালিন,লাইমস্টোন।
কক্সবাজার জেলার প্রধান ফল কী,
আম,কাঠাল,আনারস,কলা,পেপে,
নারিকেল,লিচু,পেয়ারা,তাল।
কক্সবাজার জেলার রপ্তানী পন্য কী কী,
পান,সুপারি,কাঠাল,কলা,পেপে,আনারস,
চীনাবাদাম,কাঠ,চিংড়ি,শুটকি,লবণ,তামাক,
মাছ,নারিকেল,রাবার।
কক্সবাজার জেলার যাতায়াত:বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খুব
সহজে সড়ক পথ দিয়ে কক্সবাজার খুব সহজে যাওয়া যায়।