চট্রগাম জেলার দর্শনীয় স্থান, ইতিহাস ও ঐতিহ্য
চট্রগাম জেলা,বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রশাসনিক অঞ্চল,চট্রগাম বিভাগের সদর জেলা।বানিজ্যিক রাজধানী হিসেবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে,বাংলাদেশের অর্থনীতিতে।
পাহাড়,নদী,সমুদ্র,উপত্যকায় বনাঞ্চল,এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম লীলাভূমির চট্টগ্রাম জেলা।
দর্শনীয় স্থান-চট্রাগাম জেলার
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত,ফয়’লেক,চট্রগাম চিড়িয়াখানা,হযরত শাহ আমানত(র) মাজার,
হযরত বায়েজীদ বোস্তামী(র)মাজার,জাতিতাত্ত্বিক যাদুঘর,ওয়ার সিমেট্রি,ডিসি হিল,
বাটালি হিল,কোর্ট বিল্ডিং,চন্দ্রনাথ পাহাড়,বাঁশখালী ইকোপার্ক,পারকি সমুদ্র সৈকত (আনোয়ারা)।
চট্রগ্রাম জেলার ভৌগলিক পরিচিতি
পূর্বে বান্দরবান,রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা, উত্তরে ফেনী জেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য,
পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।
চট্রগাম জেলার প্রতিষ্ঠা কাল,১৬৬৬সালে চট্রগাম জেলা গঠিত হয়।
তিন পার্বত্য জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।১৮৬০ সালে পার্বত্য এলাকা নিয়ে পার্বত্য চট্রগাম জেলা গঠন করা হয়।
চট্রগাম জেলার নামকরণের ইতিহাস
চট্রগাম জেলার প্রায় ৪৮টি নামে বিভিন্ন সময় নামকরণ করা হয়েছেছিল।
নাম গুলো হল,রম্যভূমি,চাটিগাঁও চাদগাঁও,রোসাং, চিতাগঞ্জ সহ বেশ কিছু নামে ডাকা হত
এ অঞ্চলটিকে।চট্রগাম জেলার নামকরণের জন্য এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠা
স্যার উইলিয়ামের মতে একটি ক্ষুদ্র পাখির নাম অনুসারে এ জেলাটির নাম করণ করা হয়।
অন্য একটি ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৬৬৬ সালে চট্রগাম মুঘল সাম্রাজ্যের অংশ হয়
আরাকানদের হটিয়ে এ অঞ্চলটির নাম রাখা হয় ইসলামাবাদ।মীর কাশেম আলী খান
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে এটি হস্তান্তর করে ব্রিটিশ রা এর নাম রাখেন চট্রগাম।
এক নজরে চট্রগ্রাম জেলা
চট্রগাম জেলার প্রতিষ্ঠা সন
১৬৬৬সাল।তিন পার্বত্য অন্তর্ভুক্ত ১৮৬০সাল।
চট্রগামের মোট কয়টি নাম পাওয়া যায়?
৪৮টি নাম খুজে পাওয়া যায়।
এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠা তা
স্যার উইলিয়াম।চট্রগামের সীমানা
নির্ধারণ করা হয় ১৭৬০ সালে।
চট্রগাম জেলার নদ-নদী কয়টি
কর্ণফুলী,হালদা,সাঙ্গু,মুহুরী উল্ল্যেযোগ্য নদী।
তুলনামূলক ছোট নদি ডলু নদী,টংকাবতী নদী।
চট্রগাম জেলায় কয়টি উপজেলা আছে
১৫টি উপজেলা আছে।
চট্রগাম জেলার উপজেলা সমুহের নাম কি
চট্রগাম জেলায় ১৫টি উপজেলা রয়েছে উপজেলা গুলো হল।আনোয়ারা উপজেলা,
কর্ণফুলী উপজেলা,চন্দনাইশ উপজেলা, পটিয়া উপজেলা,ফটিকছড়ি উপজেলা,
বাশঁখালী উপজেলা,বোয়ালখালী উপজেলা, মীরসরাই উপজেলা,রাউজান
উপজেলা,রাঙ্গুনিয়া উপজেলা,লোহাগড়া উপজেলা,সন্দ্বীপ উপজেলা,
সাতকানিয়া উপজেলা,সীতাকুণ্ড উপজেলা,হাটহাজারী উপজেলা।
চট্রগাম জেলার থানা কয়টি আছে
৩০টি থানা রয়েছে।
চট্রগাম জেলার উপজেলা পর্যায়ে থানা সমুহের নাম কী
মীরসরাই,সীতাকুন্ড,সন্দীপ,রাউজান,রাঙ্গুনিয়া,ফটিকছড়ি,ভুজপুর,হাটহাজারী,পটিয়া,
আনোয়ারা,চন্দিনাইশ,বোয়ালখালী,বাশঁখালী,লোহাগড়া,সাতকানিয়া জোরাগঞ্জ।
চট্রগাম জেলার মেট্রোপলিটন থানা কয়টি
মেট্রোপলিটন থানা ২৬টি।
মেট্রোপলিটন থানা গুলোর নাম কি
আকবর শাহ থানা,ইপিজেড থানা,কর্ণফুলী থানা,কোতোয়ালী থানা,খুলশী থানা,চকবাজার থানা,চান্দগাঁও থানা,ডবলমুরিং থানা,পতেঙ্গা থানা,পাহাড় তলী থানা,পাঁচলাইশ থানা,বন্দর থানা,বাকলিয়া থানা,বায়েজিদ থানা,সদরঘাট থানা,হালি শহর থানা।
চট্রগাম জেলারপৌরসভা কয়টি আছে
১৫ টি পৌরসভা আছে।
চট্রগাম জেলার পৌরসভার নাম কি কি
চট্রগাম জেলায় ১৫টি পৌরসভা রয়েছে, পৌরসভা গুলো হল।চন্দনাইশ,
দোহাজারী,পটিয়া,ফফিকছড়ি,নাজিরহাট,বাঁশখালী,
বোয়ালখালী,বারৈয়াহাট,মীরসরাই,
রাউজান,রাঙ্গুনিয়া,সন্দ্বীপ,সাতকানিয়া,
সীতাকুন্ড,হাঠাজারী।
চট্রগাম জেলার সংসদীয় আসন কয়টি আছে
১৬টি সংসদীয় আসন চট্রগ্রাম জেলায়।
চট্টগ্রাম জেলার সংসদীয় আসন গুলোর নাম?
চট্রগাম জেলার আয়তন কত
৫,২৮৩ বর্গ কি:মি:
চট্রগাম জেলার মোট জনসংখ্যা কত
২০১১সালের আদমশুমারি তথ্য অনুযায়ী ৭৯,১৩,৩৬৫ জন।
পুরুষ ৩৯,৮৮,৫৫৩ জন।
মহিলা ৩৯,২৪,৮১২জন।
চট্রগাম জেলার শিক্ষার হার কত
৫৮.৯%
পুরুষ ৬১.১%
মহিলা ৫৬.৭%
চট্রগাম জেলার সময় অঞ্চল?
বি এসটি(ইউটিসি+৬)
চট্রগাম জেলার পোস্ট কোড কত?
৪০০০
চট্রগাম জেলার প্রশাসনিক বিভাগের কোড?
২০১৫
চট্রগাম জেলায় কোন ধর্মের কতজন বসবাস করে?
ইসলাম৮৬%
হিন্দ্যু১২%
বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্ম ২%
চট্রগামে মুক্তিযুদ্ধের গনকবর কয়টি আছে?
৯টি
চট্রগাম জেলায় কয়টি সিটি কর্পোরেশন আছে?
চট্রগাম জেলায় একটি সিটি কর্পোরেশন আছে,চট্রগাম সিটি কর্পোরেশন(চসিক)
চট্রগাম জেলায় বধ্যভূমি কয়টি আছে?
১৩টি
চট্রগাম জেলার স্মৃতিস্তম্ভ কয়টি আছে?
স্মৃতস্তম্ভ ৯টি আছে।
চট্রগাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কয়টি?
৪১টি
চট্রগাম জেলায় কয়টি ইউনিয়ন আছে
১৯০ টি ইউনিয়ন আছে।
চট্রগাম জেলার কতটি মৌজার অন্তর্ভুক্ত
৮৯০ টি মৌজার অন্তর্ভুক্ত।
চট্রগাম জেলায় কতটি গ্রাম আছে
গ্রাম ১২৬৭টি.
চট্রগাম জেলার যাতায়াত:বাংলাদেশের বানিজ্যিক রাজধানী চট্রগামে বাংলাদেশের
যে কোন যায়গা থেকে,খুব সহজে সড়কপথ,ট্রেইন এ বিমানে যাতায়াত করা যায়।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন