শরীয়তপুর জেলার নামকরণের ইতিহাস ও দর্শনীয় স্থান
শরীয়তপুর জেলা,ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল,প্রাচীনকাল থেকেই অঞ্চলটি
বৃহত্তর মাদারীপুর কোটালীপাড়া,চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের অন্তর্ভুক্তছিল,পূর্বে বৃহত্তর,বিক্রমপুরের
অংশ ছিল।১৮৬৯ সালে প্রশাসনের সুবিধার্থে জেলায় উন্নতি করা হয়।
শরীয়তপুর জেলার ভৌগলিক সীমানা
উত্তরে মুন্সিগঞ্জ জেলা,দক্ষিণে বরিশাল জেলা,পূর্বে চাঁদপুর জেলা,পশ্চিমে মাদারীপুর জেলা অবস্থিত।
শরীয়তপুর জেলার দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভ্রমনপ্রিপাসুরা ছুটে আসে শরীয়তপুর জেলার পর্যটনকেন্দ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্র গুলো হল।সুরেশ্বর দরবার শরিফ,কার্তিকপুর জমিদারবাড়ি,বুড়ির হাট মসজিদ,
লাকার্তা শিকদারবাড়ি,মগর,কুরাশি,রুদ্রকর,ধানুকার মনসা বাড়ি,আলুর বাজার ফেরিঘাট,
ছয়গাঁও জমিদার বাড়ি,রাম সাধুর আশ্রম,আলুর বাজার ফেরিরঘাট,
ধানুকার মনসা বাড়ি,কুরাশি,মহিষারের দীঘি,মগর,বুড়ির হাট মুন্সিবাড়ি সহ
বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান শরীয়তপুর জেলায় রয়েছে।
শরীয়তপুর জেলার নামকরণের ইতিহাস,হাজী শরিয়ত উল্লার নাম অনুসারে ১৯৭৭ সালের ৩ই নভেম্বর
শরীয়তপুরে নামকরণ করা হয়।বিশিষ্ট সমাজ সেবক,বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন
হাজী শরিয়ত উল্লাহ।১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নতি করা হয়।
শরীয়তপুর জেলার বিখ্যাত খাবার,খেজুরের গুড়ের পিঠা, খেজুরের রস,
বিবিখানা পিঠার,শরীয়তপুর জেলা বিখ্যাত।
শরীয়তপুর জেলার নদ-নদী,শরিয়তপুরে বেশ কিছু নদ-নদীর শাখা-উপশাখা রয়েছে।পদ্মা
মেঘনা,দামুদিয়া,আরিয়াল খাঁ সহ বেশ কিছু নদীর শাখা এ জেলায় রয়েছে।কীর্তিনাশা,
বিনোদপুর ও পালং নদী এবং নড়িয়া খাল উল্লেখযোগ্য।
শরীয়তপুর জেলার আয়তন কত?
আয়তন১,৩৬৩.৭৬বর্গকিমি।
(৫২৬.৫৫বর্গমাইল)
শরীয়তপুর জেলার জনসংখ্যা কত?
১১,৫৫,৮২৪জন
শরীয়তপুর জেলার মোট শিক্ষার হার কত?
৪১%
শরীয়তপুর জেলার প্রশাসনিক কোড কত?
৩০৮৬।
শরীয়তপুর জেলায় কয়টি উপজেলা আছে?
৭টি উপজেলা নিয়ে শরীয়তপুর জেলা গঠিত।
শরীয়তপুর জেলার থানা সমুহের নাম কী,শরীয়তপুর সদর,জাজিরা,নড়িয়া,ভেদরগঞ্জ,
ডামুড্যা,গোসাইরহাট,সখিপুর।
শরীয়তপুরজেলার উপজেলা সমুহ,জাজিরা উপজেলা,শরীয়তপুর উপজেলা সদর,গোসাইরহাট উপজেলা,
ডামুড্যা উপজেলা,ভেদরগঞ্জ উপজেলা,নড়িয়া উপজেলা,সখিপুর উপজেলা।
শরীয়তপুর জেলার সংসদীয় আসন কয়টি?
শরীয়তপুর জেলার সংসদীয় আসন ৩টি।
শরীয়তপুর জেলার সংসদীয় আসনের নাম কী কী?
শরীয়তপুর জেলার সংসদীয় আসন ৩টি রয়েছে নিচে সংসদীয় আসনের নাম দেওয়া হয়।
শরীয়তপুর জেলার ধর্ম বিশ্বাস
ইসলাম৯৬.৭৬%
হিন্দু৩.০%
খ্রিষ্টধর্ম.০৫%
অন্যান্য০.২৫৪%
শরীয়তপুর জেলার থানা কয়টি?
৭টি থানা রয়েছে শরীয়তপুর জেলায় আছে।
শরীয়তপুর জেলায় পৌরসভা কয়টি?
৫টিপৌরসভা।
শরীয়তপুর জেলার পৌরসভার নাম সমুহ,শরিয়তপুর জেলায় ৫টি পৌরসভা রয়েছে পৌরসভা গুলো হল,
নড়িয়া পৌরসভা,জাজিরা পৌরসভা, শরিয়তপুর সদর পৌরসভা,ড্যামুডা পৌরসভা,ভেদরগঞ্জ পৌরসভা.
শরীয়তপুর জেলা কোন বিভাগে অবস্থিত?
ঢাকা বিভাগেত অন্যতম জেলা শরীয়তপুর।
শরীয়তপুর জেলা কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
১৯৮৪ সালে।
শরীয়তপুর জেলার ইউনিয়ন পরিষদ কয়টি?
৬৪টি।
শরীয়তপুর জেলার ওয়ার্ড কয়টি?
৪৫টি।
শরীয়তপুর জেলার মহল্লা কয়টি?
৯৩টি।
শরীয়তপুর জেলার গ্রাম কয়টি?
১২৩০টি গ্রাম এ জেলায় রয়েছে।
শরীয়তপুর জেলার মৌজা কয়টি?
৬০৭টি।
শরীয়তপুর জেলার অর্থনীতি শরীয়তপুর জেলা কৃষি নির্ভরশীশ একটি জেলা।
এ জেলার মানুষ কৃষি উৎপাদন করে থাকে
প্রধান শস্য:ধান,গম,পাট,পিঁয়াজ,মিষ্টি আলু,টমেটো,মরিচ
সহ বেশ কিছু কৃষি পণ্য উৎপাদন হয়ে থাকে।
এ জেলার মানুষ কৃষি উৎপাদন করে থাকে
প্রধান শস্য:ধান,গম,পাট,পিঁয়াজ,মিষ্টি আলু,টমেটো,মরিচ
সহ বেশ কিছু কৃষি পণ্য উৎপাদন হয়ে থাকে।
শরীয়তপুর জেলার রপ্তানি পণ্য কী,পিঁয়াজ,আদা,টমেটো,পাট।
শরীয়তপুর জেলায় কি শিল্পকারখানা আছে?
শরীয়তপুর জেলায় চাউলের কল,আটার কল,ময়দার কল সহ বেশ কিছু কারখানা
এ জেলায় রয়েছে তবে বৃহত কোন কারখানা শরীয়তপুর জেলায় গড়ে উঠেনি।
শরীয়তপুর জেলা কাশা ও পিতলেরজন্য বিখ্যাত ছিল।
শরীয়তপুর জেলার খেলাধুলা কি কি?
শরীয়তপুর জেলায় বেশ কিছু খেলাধুলা
প্রচলিত রয়েছে উল্লেখযোগ্য খেলাধুলার মধ্য
কানামাছি,দাড়িয়াবান্দা,গোল্লাছুট,হাডুডু,ক্রিকেট,ফুটবল ইত্যাদি এ জেলার মানুষের প্রিয়।
শরীয়তপুর জেলার পত্র-পত্রিকা কী কী?শরীয়তপুর পরিক্রমা,দৈনিক রুদ্রবার্তা,দেনিক হুংকার,
দেনিক বর্তমান এশিয়া সহ বেশ কিছু স্থানীয় পত্রিকা রয়েছে শরীয়তপুরজেলায়।
যাতায়াত ব্যবস্থা:নৌ-পথে যাতায়াত করা যায়. ঢাকা থেকে বাস যুগে মাওয়া ঘাটে যেতে হয়।লঞ্চ
দিয়ে শরীয়তপুরে খুব সহজে যাওয়া যায়।ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চ দিয়ে শরীয়তপুরে যাতায়াত করা যায় খুব সহজে।