চাঁদপুর জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য, দর্শনীয় স্থান
চাঁদপুর জেলা(Chandpur District) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের প্রশাসনিক অঞ্চল।পদ্মা,মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলন স্থলে চাঁদপুর জেলা অবস্থিত(District of Bangladesh)
চাঁদপুর জেলার মানচিত্র (Chandpur Map)পূর্বে কুমিল্লা জেলা,উত্তরেকুমিল্লা জেলা,মেঘনা নদী ও মুন্সীগঞ্জ জেলা,দক্ষিণে লক্ষীপুর ও নোয়াখালী জেলা,পশ্চিমে মেঘনা নদী,মুন্সীগঞ্জ জেলা,শরিয়তপুর এবং বরিশাল জেলা অবস্থিত।
চাঁদপুর জেলার ইতিহাস?(Chandpur)
১৮৭৯সালে ত্রিপুরা জেলা(পরবর্তীতে কুমিল্লা জেলা নামে সুপরিচিতছিল) তিনটি মহকুমা নিয়ে গঠিত হয়,Chandpur অন্যতম।১৯৮৪সালে ১৫ই ফ্রেবুয়ারী চাঁদপুর জেলা গঠিন হয়.
চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান
মিনি কক্সবাজার
চাঁদপুর মসজিদ
লোহাগড় মঠ
জমিদার বাড়ি
রূপসা জমিদার বাড়ী
লোহাগড়া মঠ
শ্লোল্লা জমিদার বাড়ি
বলাখাল জমিদার বাড়ি
বোয়ালিয়া জমিদার বাড়ি
গজরা জমিদার বাড়ি
ইলিশ চত্বর
রক্তধারা।সহ বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান চাঁদপুরে রয়েছে।
চাঁদপুর জেলার নামকরণের ইতিহাস?
বার ভূঁইয়াদের আমলে চাঁদপুর অঞ্চল বিক্রমপুরের চাঁদ রায়ের দখলে ছিল।ঐতিহাসিক জে এম সেনগুপ্তের মতে,চাঁদ রায়ের নাম অনুসারে চাঁদপুর অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা ব্যান্ডিং
চাঁদপুর ইলিশের রাজধানী হিসেবে জেলাপ্রশাসক কর্তৃক,ইলিশের ভাষ্কর্য স্থাপন করা হয়।ইলিশের রাজধানী হিসেবে খুব সহজে পরিচিত করে তুলতে,ইলিশ তিন রাস্তার মোড়ে ভাষ্কর্য স্থাপন করা হয়।২০১৫সাল থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ২০১৭সালে জেলা কে,জেলা ব্যান্ডিং-চাঁদপুর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।ইলিশ চত্ত্বরের কারুশিল্পী হাশেম খান ভাষ্কর্য তৈরি করেছে.
এক নজরে চাঁদপুর জেলা
চাঁদপুর জেলা কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
১৯৮৪সালের ১৫ই ফ্রেবুয়ারী মাসে.
চাঁদপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?
চাঁদপুরে ইলিশ বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়,তাই চাঁদপুর কে ইলিশের বাড়ি বলে ডাকা হয়।এখানে ইলিশ প্রজন্ম অঞ্চল হিসেবে ঘোষীত।
চাঁদপুর জেলার বিখ্যাত খাবার কি?
চাঁদপুরে ইলিশ ভাজি,মতলবের ক্ষীরের স্বাদ কম বেশি সবারই জানা যারা মতলবের ক্ষীর খেয়েছেন।
চাঁদপুর জেলার আয়তন কত?
চাঁদপুর জেলার আয়তন প্রায় ১৭০৪.০৬চাঁদপুর জেলা কয়টি উপজেলা নিয়ে গঠিত?
ইলিশের রাজধানী খ্যাত চাঁদপুর ৮টি উপজেলা নিয়ে গঠিত।
চাঁদপুর জেলার উপজেলা সমুহের নাম কী?
কচুয়া উপজেলা,চাঁদপুর সদর উপজেলা,ফরিদগঞ্জ উপজেলা,মতলব উত্তর উপজেলা,মতলব দক্ষিণ উপজেলা,শাহরাস্তি উপজেলা,হাইমচর উপজেলা,হাজিগঞ্জ উপজেলা।
চাঁদপুর জেলায় কয়টি পৌরসভা আছে?
৮টি।
চাঁদপুর জেলার পৌরসভা গুলোর নাম কী?
হাজিগঞ্জ,শাহরাস্তি,মতলব,নারায়ণপুর,
ছেংগারচত,ফরিদগঞ্জ,চাঁদপুর,কচুয়া।
চাঁদপুর জেলায় কয়টি থানা আছে?
৮টি
চাঁদপুর জেলার থানা গুলোর নাম কী?
কচুয়াথানা,চাঁদপুরথানা,ফরিদগঞ্জথানা,মতলব উত্তরথানা ,মতলব দক্ষিণথানা,শাহরাস্তিথানা,হাইমচরথানা ,
হাজিগঞ্জ থানা।
চাঁদপুর জেলা কবে প্রতিষ্ঠিবর্গ কিলোমিটার।
চাঁদপুর জেলার জনসংখ্যা কত?
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী চাঁদপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ২৪,১৬,০১৮জন।
চাঁদপুর জেলায় পুরুষের সংখ্যা কত?
১১,৪৫,৮৩১ জন।
চাঁপুর জেলার মহিলার সংখ্যা কত?
১২,৭০,১৮৭জন।
চাঁদপুর জেলায় মোট কয়টি পরিবার বসবাস করে?
চাঁদপুর জেলায় মোট ৫,০৬,৫২১ পরিবার বসবাস করে।
চাঁদপুর জেলায় ইসলাম ধর্মের লোক কত জন? ৯৩.৫৪%
চাঁদপুর জেলায় হিন্দু ধর্মের লোক কত জন?
হিন্দু ধর্ম ৬.৩৮%
চাঁদপুর জেলায় অন্যান্য ধর্মের লোক কত ভাগ?
অন্যান্য ধর্ম ০.০৮%বসবাস করে।
চাঁদপুর জেলার শিক্ষার হার কত?
২০১১সালের আদমশুমারী অনুযায়ী সাক্ষরতার হার ৫৬.৮% বর্তমানে ৬৯.৮০% রয়েছে।
চাঁদপুর জেলার প্রশাসনিক কোড কত?
২০১৩.
চাঁদপুর জেলা পোস্ট কোড কত?
৩৬০০.
চাঁদপুর জেলার অর্থনীতি কি?
চাঁদপুর জেলা কৃষি নির্ভর।বেশির ভাগ মানুষ মৎস আহরণ ও চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে।কিছু মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল,
এ জেলায় ব্যক্তি মালিকানায় বেশ কিছু শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে।
চাঁদপুর জেলার প্রধান শস্য কী?
ধান,পাট,গম,আখ।
চাঁদপুর জেলার রপ্তানি পন্য কী কী?
নারিকেল,চিংড়ি,আলু,ইলিশ মাছ,সবুজ শাক-সবজি,পোশাক।
চাঁদপুর জেলার নদ-নদী কয়টি?
চাঁরপুর জেলায় অসংখ্য ছোট ছোট নদী রয়েছে,এর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য কয়েকটি নদী এ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পদ্মা,মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদী,ধনাগোদা নদী রয়েছে।
চাঁদপুর জেলায় কয়টি মৌজা আছে?
মৌজা ১০৪১টি
চাঁদপুর জেলার ইউনিয়ন কয়টি আছে?
ইউনিয়ন ৮৮টি
চাঁদপুর জেলায় কয়টি গ্রাম আছে?
১৩৬৫ টি আছে।
চাঁদপুর জেলায় কয়টি সংসদীয় আসন আছ?
৫টি।
চাঁদপুর জেলার সংসদীয় আসন গুলোর নাম কী?
যাতায়াত:চাঁদপুরে নৌ-বন্দর রয়েছে,
ঢাকা,বরিশাল,চট্রগামে নৌ-পথে যাতায়াত করা যায়।সড়কপথ দিয়ে চাঁদপুর থেকে বাংলাদেশের যে কোন যায়গায় খুব সহজে যাতায়াত করা যায়।চাঁদপুর জেলায় ট্রেইন দিয়ে ও যাওয়া যায়।