হবিগঞ্জের কালাডোবা,পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত
রুপময় বর্ষায় সেজেছে হবিগঞ্জের হাওর
কালাডোবা পর্যটকের আনাগোনায় মেতে থাকে সারাক্ষণ।
হবিগঞ্জ জেলার নান্দনিক সৌন্দর্যে ভরপুর,হাওর বৈষ্টিত পর্যটন স্পর্ট,কালাডোবা।
শহরের পাশেই অবস্থিত।শহরে বসবাসরত সাধারণ মানুষেরা অবসর সময় কাটানোর
জন্য কালারডোবা চলে আসে। প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্যে ভরপুর,বর্ষার সময় কালারডোবা
পানিতে টইটম্বুর তাকে।
হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ছুটে আসে কালারডোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য
উপভোগ করতে।কালাডোবা কে হবিগঞ্জের মিনি কক্সবাজার হিসেবে তুলনা করা হয়।
প্রধান কারন হচ্ছে যখন হাওরে বেশি পানি থাকে তখন,প্রবল বাতাসের বেগে কয়েক ফুট
উচুঁ ডেউ রাস্তা এসে লাগে,বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতের কিছু টা ফিল এখানে পাওয়া যায়,
তাই আগত পর্যটকেরা এটি কে হবিগঞ্জের মিনি কক্সবাজার হিসেবে ডাকে।বিকেলে লাল
সূর্য্যের রশ্মি পানিতে খেলা করে।এখান থেকে বিকালের সূর্যাস্ত
উপভোগ করা যায়। লাল সূর্য্য হাওরের বুকে নিমিশেই মিশে যায়।
কালাডোবা কে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটকদের জন্য বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট।
এখানে বসে আগত পর্যটকরা বসে গোশ গল্প করে,কালাডোবার সৌন্দর্য্য উপভোগ করে।
বিকাল হতে শুরু হয় পর্যটকদের আনাগোনা রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা,এখান থেকে
যে যার গন্তব্যে চলে যায়।হিমেল শীতল বাতাস উপভোগ করে আনন্দে মেতে উঠে ভ্রমন প্রিপাসুরা
হবিগঞ্জ শহরে দেখার মত কী আছে?
বৃন্দাবন সরকারি কলেজ
সুরবিতান,হবিগঞ্জ
শিল্পকলা একাডেমি,
এম এ রব স্মৃতি পাঠাগার
কমান্ডার মানিক চৌধুরী জাদুঘর,লাইব্রেরী
স্মৃতিসৌধ শহরের পাশেই অবস্থিত
নাগুড়া ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট
শচীন্দ্র কলেজমশাজান দিঘী(গায়েবী দিঘী
কালাডোবায় দেখার মত কি আছে?
বর্ষায় কালাডোর রাস্তার দু”পাশে পানিতে ভরপুর।আগত পর্যটকেরা স্থানীয় নৌ-ঘাট থেকে
ছোট নৌকা দিয়ে হাওর বিলাসে মেতে উঠে।শুকনো মৌসুমে বিলের মাঝে পদ্মফুলের পাপড়ির
ও পিউম ফুলের সমারোহ দেখা মিলে।বার মাস,পর্যটকদের আনাগোনা থাকে।
শীতকালে বিলের মাঝে অথিতী পাখির আনোগোনা দেখামিলে।বিশাল হাওরে বোরধান রোপন করে,
প্রকৃতির মাঝে সবুজের সমারোহ দেখা মিলে,বাতাসের সাথে ধান গাছের পাতা দোলনায় হেলে পড়ে মাঠিতে।
বানিয়াচং উপজেলার সেরা দর্শনীয় স্থান ঘুরে আসুন।
ভবানীপুর হাওর
ক্যাটকিম ড্রাম রেস্টুরেন্ট
লক্ষীর বাউড় সোয়াম্প ফরেস্ট
বিথলং আখড়া
আলী রাজার বাড়ি
এশিয়ার সবচেয়ে বড় গ্রাম বানিয়াচং
কমলা রাণীর দিঘী(সাগর দিঘী)
কালাডোবা মুলত ভাটি অঞ্চলের নৌঘাট।এখান থেকে ইঞ্চিল চালিত নৌকা দিয়ে নিয়মিত যাত্রী,
পন্যবাহী নৌকা আজমেরীগঞ্জ ও বানিয়াচংয়ের বেশ কিছু এলাকার মানুষ নিয়মিত যাতায়ত করে।
কামড়াপুর ব্রীজ থেকে কালারডুবা যাওয়ার পথে ধানের গুদামের দেখা মিলে,মূলত কালোডোবার
নৌঘাট কে কেন্দ্র করে স্থানীয় ধান ব্যবসায়ীরা এখানে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে।রাস্তার
দুপাশে,নৌ-বন্দর হওয়া অনেক বছর ধরে ভাটি অঞ্চলের নৌ-ঘাট হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
অবস্থান হবিগঞ্জ জেলা শহর,থেকে, খোয়াই নদীর উপর কামড়াপুর ব্রীজ থেকে ১কিলোমিটার দুরে
অবস্থিত।কালাডোবা বানিয়াচং রোডের দু”দিকে হাওর, নৌ-ঘাট থেকে ১০০হাত দুরে একটি সুন্দর
ব্রীজ রয়েছে, ব্রীজের পাশেএকটি শীল কড়ই গাছ,ওপারে একটি যাত্রী ছাউনী আছে এখান থেকে বানিয়াচং,
আজমেরীগঞ্জ যাতায়াত করা যায়।
কিভাবে যাবেন:হবিগঞ্জ শহর থেকে ৩-৪কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়ায় টমটম,রিক্সা বা
সি এন জি দিয়ে সহজে যাতায়ত করা যায়।
ভাড়া ১০-২০টাকা
বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে খুব সহজে হবিগঞ্জ শহরে আসা যায়।হবিগঞ্জ শহর থেকে
৩-৪কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কালার ডোবা।
কোথায় থাকবেন: হবিগঞ্জ শহরে ভালমানের আবাসিক হোটেল, কম টাকায় ভাড়া নিয়ে থাকতে পারবেন।
কোথায় খাবেন:হবিগঞ্জ শহরে ভাল মানের খাবার হোটেল আছে,হবিগঞ্জের হাওরের টাটকা মাছ দিয়ে
কম টাকায় খেতে পারেন।
হবিগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান
রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে
লক্ষীর বাওর স্পোয়াম্প ফরেস্ট,
বানিয়াচংশংকর পাশা জামে মসজিদ,হবিগঞ্জ
আলী রাজার জমিদার বাড়ি,বানিয়াচং।
ক্যাটকিন ড্রাম রেস্টুরেন্ট পার্ক হবিগঞ্জ.
চাকলাপুঞ্জি, হবিগঞ্জ
সাগরদিঘী, হবিগঞ্জ.
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান,হবিগঞ্জ.
গ্রীনল্যান্ড পার্ক,হবিগঞ্জ
মশাজান দিঘী,হবিগঞ্জ