উচাইল মসজিদ

হবিগঞ্জের ঐতিহ্যের স্মারক শংকরপাশা শাহি মসজিদ












উচাইল শংকরপাশা শাহী জামে মসজিদ, পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়, উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে। মসজিদটি নির্মান শুরু হয় ১৫১৩ সালে। নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয় ১৬১৪ সালে।


সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ মজলিশ আমিন। মসজিদ নির্মান করেন শুরু করেন। মসজিদের পাশেই তার মাজার রয়েছে। কালের বিবর্তনে এক সময় মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় বিরান ভূমিতে পরিণত হয়ে জঙ্গল বেষ্টিত হয়ে যায়, গ্রামবাসী মসজিদটি জঙ্গল কেটে বের করে। বর্তমানে মসজিদটি তে নামাজা আদায় করে উচাইল গ্রামবাসীরা।


পরবর্তীকালে এলাকায় জনবসতি গড়ে উঠলে, জঙ্গল আবাদ করতে গিয়ে মসজিদের দেখা মিলে। এক চালা ভবন বিশিষ্ট মসজিদ, ভবনটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ একই মাপের, যা ২১ ফুট ৬ইঞ্চি মসজিদের সামনের বারান্দার ৩ ফুটের মূল ভবনের উপরে একটি বিশাল গম্ভুজ এবং বারান্দা  রয়েছে, বারান্দার উপরে তিনটি গম্বুজ, মসজিদের দরজা জানালা রয়েছে ১৫ টি, পূর্ব -উত্তর-দক্ষিণ তিন দিকের দেয়ালের পুরুত্ব প্রায় ৫ ফুট এবং পশ্চিমে ১০ ফুঁট। এতে মোট ছয়টি কারুকার্য শোভিত স্তম্ভ রয়েছে। প্রধান কক্ষের চারকোণ বারান্দার দুই কোণের উপরের ছাদ। প্রধান প্রাচীরের কার্নিশ বাকাঁনোভাবে নির্মিত। মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে একটি বড় দিঘী রয়েছে।


কিভাবে যাবেনঃ ঢাকার সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল, মহাখালী, থেকে সিলেটগ্রামী বাসে করে হবিগঞ্জ অর্থাৎ অলিপির ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার বাস কাউন্টারে নেমে, অলিপুর হতে উচাইলে সি এন জি/ টম-টমে খুব সহজে যাওয়া যায়। বাস ভাড়াঃ ৩৫০/৫৫০টাকা
অলিপুর থেকে উচাইল জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা

হবিগঞ্জ শহর থেকে যেভাবে যাবেন: হবিগঞ্জ শহর থেকে নিয়মিত উচাইল বাজারে নিয়মিত গাড়ি যাতায়াত করে সি এন জি জনপ্রতি সি এন জি ভাড়া ৪০-৫০ টাকা







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪