মশাজানের দিঘী

হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মশাজান দিঘী

মশাজান দিঘী 

হবিগঞ্জ জেলার মশাজান (Mashajan Dighi) গ্রামে ষোল শতকের প্রথম দিকে ২০০ একর সীমানার মধ্যভাগে অবস্থিত মশাজান দিঘী। প্রতিষ্ঠাতা আত্যাধিক পুরুষখ্যাত সৈয়দ গিয়াসউদ্দিন তিনি ছিলেন মধ্যযোগীয় মহাকবি সৈয়দ সুলতানের জ্যেষ্টসন্তান, এবং সিপাহসালা সৈয়দ নাসিরুদ্দিনের ৬ষ্ট  অধস্থন পুরুষ।


মশাজান দিঘী বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। চারপাশে ঘন জঙ্গল গাছ-গাছালি পরিবেষ্টিত লম্বাটে চৌকোনা আকৃতির, দীঘিতে কোন এক রহস্যজনক কারণে অসংখ্য ক্ষুদ্র শিলাখণ্ড বিদ্যমান। পাথরগুলো উল্কাপিন্ডের সাথে হুবহু মিল রয়েছে। দিঘির পানি স্বচ্ছ কাঁচের মত গভীরের তলদেশ স্পষ্ট দেখা যায়।


আশ্চর্যজনক ভাবে লক্ষণীয় বিষয় এতে কোন ধরনের কচুরিপনা, সাপ, ব্যাঙ্গ, কীট পতঙ্গ জন্ম নেয় না। পানি এতটাই বিশুদ্ধ যাদের চর্মরোগ আছে দিঘিতে কয়েকবার গোসল করলে চর্মরোগ কমে যায়, তবে এতে কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নাই। তবে এখানে ওলির কেরামতির ফলে চর্মরোগ কমে যায়।প্রচলিত লোকশ্রুতি বা স্থানীয়রা সৈয়দ গিয়াসউদ্দিনের কাছে আবেদন করেন তাদের 

একটি পুকুর প্রয়োজন। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলে সৈয়দ গোয়াস উদ্দিন রাতে রাতে ফেরেশতাদের 

দ্বারা এক রাতেই দীঘির সৃষ্টি হয়েছে, দিঘী সৃষ্টির পর থেকে  কখনো ও খনন করার কোনো প্রয়োজন হয়নি। এখন ও খনন ছাড়াই দিঘী অনেক গভীর।


কিভাবে যাবেন: ঢাকা হতে সায়েদাবাদ, মহাখালী থেকে হবিগঞ্জের বাসে করে খুব সহজে আসতে পারবেন হবিগঞ্জে। 
ভাড়াঃ৩৫০/৫৫০ টাকা মশাজান দিঘীতে যাবেন যেভাবে, শহর থেকে মশাজান দিঘীর দুরুত্ব মাত্র ৫কিলোমিটার,  সি এন জি বা টম-টম দিয়ে সহজে যাতায়াত করা যায়।ভাড়া জনপ্রতি  ২০ টাকা  








 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪