লক্ষ্মীবাওর সোয়াম্প ফরেস্ট

লক্ষ্মীবাওর জলাবন, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার বিরাট হাওরে অবস্থিত। 


লক্ষীর বাউর 

বাংলাদেশে সর্ব বৃহত  মিঠাপানির জলাবন এবং পাখির অভয়ারণ্য, বানিয়াচংয়ের লক্ষীর বাওর, দৈর্ঘ্য  প্রস্থে প্রায় সমান। লক্ষ্মীবাওর  (জলাবন) সোয়াম্পফরেস্ট আয়তনে প্রায় ৩ কিলোমিটার, রাতারগুল জলাবন অপেক্ষায়  অনেক বড়। 
লক্ষী  বাওর জলাবন বানিয়াচং উপজেলার খড়তি নদীর দক্ষিণ দিকে বিরাট হাওরের মধ্যে অবস্থিত. দক্ষিণ দিকে লোহাচড়া, উত্তরে খড়তি, পশ্চিমে নলাই নদী, পূর্ব-পাশে রয়েছে গঙ্গাজলের হাওরের অবস্থান।


লক্ষীবাওর জলাবন খড়তি নদীর দক্ষিণ দিকে বিরাট হাওরের মধ্যে অবস্থিত জলাবন এলাকাবাসীর নিকট খড়তির জঙ্গল নামে পরিচিত।


লক্ষীবাওর জলাবন  জীব-বৈচিত্র বনটিকে প্রথম-দর্শনে মনে হবে হিজল আর করচের বাগান।মিঠাপানির জলাবনটিতে দৃশ্যমান উদ্ভিদের মধ্যে হিজল, কড়চ ছাড়া ও রয়েছে বরুণ, কাকুরা, বউল্লা, খাগড়া, চাইল্লা, নল ইত্যাদি।অসংখ্য গাছ এবং গুল্ম-লতা পাতার সমারোহ দেখা মিলে জলাবনে।


জলাবনে প্রাণী বৈচিত্র  বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি জীব জন্তু  দেখা মিলে। জলমগ্ন বনে সাঁপের আবাস বেশি। লাড্ডুকা, দারাইশ সহ বিভিন্ন বিষধর সাপের বসবাস রয়েছে জলাবনে।এছাড়াও জোঁক শুকনো মৌসুমে বেজি গুই সাপের দেখা মিলে।


পাখিদের আবাস্থল লক্ষী বাওর জলাবনে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে বক, টিয়া, শালিক, দোয়েল, কুড়াপাখি, ছানচড়া, কাক, চিল, ঘুঘু, বালিহাঁস, পানকৌড়ি, দোয়েল পাখি এখানে শীতের সময় অথিতি পাখির অভয়আশ্রম হিসেবে পরিচিত।


এখানে বেশ কয়েক জাতের গাছ পালা গাছ-পালা রয়েছে, হিজলগাছ, কলমগাছ, মাদারগাছ, কাশফুল, বিভিন্ন প্রজাতির গাছের দেখা মিলে।চার দিকে নদী বেস্টিত বনটি হওয়া এখানে উল্লেখযোগ্য বনের পশু পাখি গাছ পালা ইত্যাদি।

বর্ষা মৌসুমে জলে ডুবে থাকা গাছের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে বেশ ভালো লাগে।ডিঙি নৌকায় চড়ে ঘুরে দেখা যায় অপরুপ সৌন্দর্য্য।

শুকনো মৌসুমে জলাবনের দৃশ্য অন্যরকম দেখা যায়।মোট কথা হল জলাবনের সৌন্দর্য্য বর্ষায় এক রকম , শুকনো মৌসূমে আরেক রকম।
জলাবনের পাশ দিয়ে ৬ মাইয়া একটি রাস্তা রয়েছে, রাস্তাটি বর্ষায় ডুবে যায় এবং শুকনো মৌসুমে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যায়।

কিভাবে যাবেন রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ, মহাখালী থেকে হবিগঞ্জ শরহরে সরাসরি বাস যারায়ত করে, বাসে করে হবিগঞ্জ শহরে আসতে হবে.ভাড়া:৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। ট্রেন দিয়ে ঢাকার কমলাপুর থেকে শায়েস্তাগঞ্জ আসতে হবে. ভাড়া:২০০/৩০০ টাকা। শায়েস্তাগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ লোকাল বাস অথবা সিএনজি যোগে হবিগঞ্জ আসতে হবে।
হবিগঞ্জ শহর থেকে বানিয়াচং সদরে আদর্শ  বাজারে আসতে হবে। আদর্শ বাজার থেকে নৌ-ঘাট থেকে ৫ কিলোমিটার উত্তরে হাওর ভাড়া:৩০টাকা জনপ্রতি। সেখান থেকে নৌকা করে লক্ষীর বাওরে যেতে পারবেন। নৌকা ভাড়া কয়েক জন মিলে সারা দিনের জন্য নিলে ১০০০ থেকে ১২০০  টাকা নিবে।

শুকনো মৌসুমে : যদি যেতে চান তাহলে বানিয়াচং আদর্শ বাজার থেকে টমটম অথবা মোটর সাইকেল দিয়ে নৌকা ঘাটে যাবেন, সেখান থেকে পায়ে হেঁটে নদী পার হলেই টম টম দিয়ে বিরাট হাওরে যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন: বানিয়াচংয়ে আর ও বেশ কয়েকটি পর্র্নপর্যটন স্পর্ট রয়েছে। সাগরদিঘী, আলী রাজার বাড়ি ইত্যাদি। সেগুলো দেখে রাতে হবিগঞ্জ শহরে ভালো মানের আবাসিক হোটেল আছে সেখানে থাকতে পারবেন।
কোথায় খাবেন: বানিয়াচং বাজারে  ভালো মানের খাবার হোটেল আছে সেখানে খেতে পারবেন।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪