তকবাক হাকড় খাগড়াছড়ি

তকবাক হাকর শব্দটি স্থানীয় ত্রিপুরা ভাষা।এর অর্থ হল বাদুড়ের গুহা।খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে প্রায়১৭ কিলোমিটার দূরে মেরং ইউনিয়নের আট মাইল নামক স্থানে অবস্থিত গুহাটি।
গোহাটি প্রথমে দেখে মনে হতে পারে প্রাগেতিহাসিক কোনো স্থাপনা। উঁচু পাথুরে দুটো পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত তকবাক হাকড়টি। 


অবাক করা বিষয় হলো প্রায়৩০ফুটের ও বেশি উচ্চতার গুহাটির মাথায় রয়েছে পাথুরে ছাদ। ছাদের মত দেখতে উপরের অংশ দেখে মনে হবে যেন কোনো রাজমেস্থী নিপুন নির্মাণশৈলীতে গুহাটির তৈরি হয়েছে। তাই কেউ কেউ এই গুহাটিকে ব্রিটিশ সৈন্যদের ব্যাংকার হিসেবেও মন্তব্য করেছেন।
ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে আকাঁ-বাকাঁ
গুহাটিতে যেতে ভয় অনুভূত হবে সবার। মশাল কিংবা চর্ট লাইট নিয়ে গুহার ভেতরে প্রবেশ করতে হবে।গুহায় প্রবেশের পর রক অন্যরকম পরিবেশ দেখতে পাবেন এডভেঞ্চারপ্রেমীদের রয়েছে অন্য রকম রোমান্সকর পরিবেশ।
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকার সায়েদাবাদ,মহাখালী,উত্তরা থেকে বাসে করে খাগড়াছড়ি আসতে হবে।
বাস ভাড়াঃ৫০০থেকে ৮০০ টাকা হবে।
খাগড়াছড়ি থেকে তকবাক যেতে প্রথমে দীঘিনালা মুল সড়ক আটমাইল  দিয়ে যেতে হবে।মুল সড়ক থেকে সাত কিলোমিটার ইট সলিং দিয়ে যেতে হবে।ইটের সলিংয়ের রাস্তা শেষ হলেই ২কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে যাওয়া লাগবে পাহাড় ও শীতল পানির লেক দিয়ে, পাহাড়ের রাস্তায় যাওয়ার সময় এক অন্যরকম প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ
করতে পারবেন।
কোথায় থাকবেনঃ খাগড়াছড়ি জেলা শহরে থাকার সু ব্যবস্থা আছে সেখানে থাকতে পারবেন।
কোথায় খাবেনঃ খাগড়াছড়ির শহরে ভাল মানের হোটেল আছে সেখানে খেতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪