লোভাছড়া ভ্রমন

লোভাছড়া বিছনাকান্দি,রাতারগুল সুনামগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ঘুরে এখন যারা ভাবছেন আর কি আছে সিলেটে দেখার মত! তাহলে একদিন সময় করে ঘুরে আসুন লোভাছড়া থেকে।বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অসংখ্য ছোট বড় নদী মিলে মিশে অপূর্ব শোভায় শোভিত প্রাচীন জনপদটির নাম কানাইঘাট।আর এখানেই সীমান্তবর্তী পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে বালুভরা বেশ কিছু স্বচ্ছ পানির নদী।এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে লোভাছড়া নদী।দুরের মেঘালয় পর্বতমালা আর লোভাছড়া নদী মিলে মিশে যে কি রূপ ধারণ করেছে যার রূপের বর্ণনা বলে শেষ হবার নয়। তাই স্বল্প কথায় বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করেছি।

কি কি দেখবেন
★ লোভা ও সুরমা নদী★ বন বিভাগের বন ভুমি
★ শত বছরের পুরানো লুভা টি- ইস্টেট
★ লোভাছড়া ঝুলন্ত ব্রিজ যা স্থানীয়রা লটকনির পুল বলে
★ খাসিয়া গ্রাম


★ মীরাপিং শাহ (র.) এর মাজার ( এটি একটি প্রাচীন স্থাপনা)
আর সীমান্তবর্তী গ্রাম গুলি পায়ে হেটে দেখুন আশা করি নিরাস হবেন না।
কিভাবে যাবেন প্রথমে আপনাকে সিলেট আসতে হবে।কদমতলি বাস স্ট্যান্ড থেকে কানাইঘাট লোকাল বাস চলাচল করে, ভাড়া ৫৫ টাকা।আপনি চাইলে সি,এন,জি রিজাব করে ও যেতে পারেন।এতে খরচ বাড়বে কিন্তু সময় কমবে।কানাইঘাট বাজার এর পাশেই নৌকা ঘাট। ওই খানেই লোকাল নৌকা লোভা ছড়া যায়, ভাড়া ৫০ টাকা।আপনি আসার সময়ও লোকাল নৌকাতে করে আসতে পারেন।চাইলে রিজার্ব করতে পারেন ভাড়া ৫০০-১০০০ টাকা।



প্রয়োজনীয় কিছু কথা লোভাছড়া তে তেমন কোন খাবার হোটেল বা দোকান নেই তাই পর্যাপ্ত খাবার কানাইঘাট বাজার থেকে নিয়ে নিবেন।আর বৃষ্টির দেখা পাবেন এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন।এখানে প্রচুর বৃষ্টি হয়।বিঃ দ্রঃ লুভা টি-ইস্টেট একটি মালিকানা প্রতিষ্ঠান এখানে যাবার আগে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করুন।আমরা একটু দায়িত্ব নিয়ে ঘুরা ফিরা করলে এই চা বাগান টি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আপনার দ্বারা পরিবেশের যাতে কোনরকম ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।অপচনশীল কোন কিছু ফেলে প্রকৃতির কাছে নিজেকে অপরাধী করবেননা ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪