বাইসাইকেলের উপকারিতা
পরিবেশ উপযোগী বাহন হিসেবে বাইসাইকেলের জুড়ি নেই । কিন্তু আমাদের শারীরিক ও মানষিক বিকাশেও রয়েছে এর ব্যপক ভূমিকা।
উপকারিতাঃ
১। নিয়মিত সাইকেল চালালে ওজন কমে। সাইকেল চালালে ক্যালোরি খরচ বৃদ্ধি পায় এবং মেটাবলিজম বা বিপাকের হার বৃদ্ধি করে, যার ফলে ওজন কমতে সাহায্য করে।
২। সাইকেল চালালে হাইপারটেনশনের রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩। নিয়মিত সাইক্লিং কার্ডিয়ভাসকুলার ফিটনেসকে উন্নত করে এবং করনারী হার্ট সংক্রমনের ঝুকি কমায়।
৪। সাইকেল চালালে HDL বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে LDL বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৫। সপ্তাহে ৩৫ কিলোমিটারের মতো দূরত্ব সাইকেলে করে চড়লে হৃদরোগের ঝুঁকি ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে যায়।
৬। সাইকেল চালানো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্ট্যাটিক সাইকেল চালনার ব্যায়াম নিয়মিত করলে হার্ট ফেইলিউরের রোগীদের কার্ডিয়াক ফাংশন উন্নত হয় ।
৭। ডায়াবেটিস কমায়, গবেষণায় পাওয়া গেছে, ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস মেলাইটিসের হার কমে। যাদের ডায়াবেটিস মেলাইটিস আছে তারা নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করে এবং টাইপ ২ ডাইয়াবেটিস মেলাইটিস এর সূত্রপাতকে প্রতিহত করে।
৮। মাংসপেশির গঠনে চমৎকার কাজ করে সাইক্লিং। বিশেষ করে শরীরের নীচের অংশের গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে সাইক্লিং।
৯। নিয়মিত সাইক্লিং করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং এটি কিছু প্রকার ক্যানসার সংক্রমনের ঝুকিও কমায়।
১০। নিয়মিত সাইক্লিং শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির পক্ষে যথেষ্ট সহায়ক।
১১। ডিপ্রেশন, স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি কমায় নিয়মিত সাইক্লিং।
১২। মহিলাদের কোলেসিস্টেকটেমির (অপারেশনের মাধ্যমে পিত্তথলির অপসারণ)হার কমায়।
১৩। সাইকেল চালানোর সময় আমাদের একই মুহূর্তে হাত, পা এবং সমগ্র শরীর সচল থাকে যা আমাদের শরীরের সমগ্র অংশের সামঞ্জস্যতা রক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক।
১৪। শ্বাস যন্ত্রের পেশীকে ট্রেইন করে সাইক্লিং।
১৫। নিয়মিত সাইক্লিং করলে আপনার আয়ুস্কাল বাড়বে। তাই অধিক আয়ুস্কাল উপভোগ করার জন্য সাইকেল চালানো শুরু করুন।