রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার,কক্সবাজার জেলা
ঘুরে আসুন সম্রাট অশোকের স্মৃতিধন্য রাংকুট বনাশ্রম
রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার,কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নে অবস্থিত।
প্রাচীন বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য ধারক ষোড়স শতাব্দীর ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক বৌদ্ধ
তীর্থভূমি।রাং অর্থ ভগবান গৌতম বৌদ্ধের বক্ষাদি কুট অর্থ চূড়া বা পাহাড়।
৬ষ্ট শতাব্দীর দিকে রাংকুটে গোতম বৌদ্ধ চট্রগ্রাম অঞ্চলে সফরে আসেন।তখন রাংকুটে বিশ্রাম
নিয়েছিল বিশ্রামের সময় একজন ভক্ত কে বলেছিল গোতম বৌদ্ধের এখানে যেন একটি
প্রার্থনার স্থান হয়।ভক্তরা পরবর্তী সময়ে এখানে পাথর,ইট দিয়ে নির্মাণ করে মূর্তি।
পরবর্তী সময়ে এখানে বৌদ্ধদের প্রার্থনার স্থান হয়ে যায়।চট্রগাম অঞ্চলের বৌদ্ধরা
এখানে নিয়মিত প্রার্থনার জন্য আসেন।
বৌদ্ধদের প্রার্থনার জন্য অনেক ধরনের মূর্তি রয়েছে,যারা ঘুরতে যাবেন অবশ্যই
রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার চট্রগ্রাম অঞ্চলের একটি অন্যতম প্রসিদ্ধ বৌদ্ধ বিহার
দেখে আসতে পারবেন।মৌর্য বংশের তৃতীয় সম্রাট অশোক এটি স্থাপন করেন।
রাংকুট বৌদ্ধের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশ ঘটেছিল এখানে মার্মা ও
চট্রগ্রাম অঞ্চলের বৌদ্ধের তীর্থস্থান ছিল এক সময়ে।
রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারে দেখার মত কী আছে,পর্যটকদের কাছে রাংকুট বৌদ্ধ
বিহার ক্রমান্বয়ে পছন্দের একটি পর্যটন স্পট হিসেবে যায়গা করে নিয়েছে।পাহাড়ের
চূড়ায় সবুজ অরণ্যের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিদিন অসংখ্য ভ্রমণপ্রিপাসুরা ছুটে যায়।
এখানে রয়েছে পাহাড়ের চূড়ায় বৌদ্ধিদের বিভিন্ন ধরনের প্রার্থনারত বৌদ্ধ মূর্তি।
পুরু তীর্থস্থানটি পরিপাটি করে সাজানো প্রকৃতি প্রেমিরা যখন পাহাড়ের উপড়ে যায়
তখন এক পলকে তীর্থ স্থানের সৌন্দর্য্যে প্রেমে পড়ে যায়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বৌদ্ধদের পাশাপাশি বিভিন্ন
ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে চলে যায়।কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান
গুলো দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক ভিড় জমায়,রাংকুট বনাশ্রম
অন্যতম এখানে নিয়মিত পর্যটকদের আনাগোনা থাকে।
কিভাবে যাবেনঃ কক্সবাজার জেলায়,বাংলাদেশের যে কোন যায়গা থেকে
যেতে পারবেন,রাংকুট বনাশ্রম রামু উপজেলায় অবস্থিত।
কোথায় থাকবেনঃ কক্সবাজার জেলা পর্যটকদের অনেক ভাল মানের
হোটেল আছে সেখানে নিজের পছন্দমতো থাকতে পারবেন।
কোথায় খাবেনঃ কক্সবাজার জেলায় ঘুরতে গেছে খাবারের জন্য
অবশ্যই চিন্তা করতে হয় না,আপনার রুচিসম্মত খাবার খেয়ে পারবেন।
হোটেল আছে সেখানে নিজের পছন্দমতো থাকতে পারবেন।
কোথায় খাবেনঃ কক্সবাজার জেলায় ঘুরতে গেছে খাবারের জন্য
অবশ্যই চিন্তা করতে হয় না,আপনার রুচিসম্মত খাবার খেয়ে পারবেন।