Meharpur District প্রাচীন জনপদ কবে এই জনপদ গড়ে উঠেছে তার সঠিক ইতিহাস
যানা যায়নি তবে,রাজা বিক্রমাদিত্যের সময় এখানে জনপদ গড়ে উঠ।
মেহেরপুরের নামকরণের ইতিহাস?ড.আশরাফ সিদ্দিকীর মতে ১৬শ শতাব্দীর একজন
দরবেশ মেহের আলী শাহের নামে এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয় তবে এই মতামত টি প্রসিদ্ধ নয়।
মেহেরপুর জেলা স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল ইতিহাসের পাতায় যায়গা
করে নিয়েছে,১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী সরকার এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়,
মেহের পুর জেলার বৈদ্যনাথতলায়,এখানে শপথ গ্রহন করেন। মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ
আম গাছের তলেই অস্থায়ী রাজধানী ঘোষনা করেন স্থানটি কে।
মেহেরপুর জেলা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড় উচ্চতা ২১মিটার উচুঁতে অবস্থিত।
মেহেরপুর জেলা কৃষি নির্ভরশী এখানে ধান,গম,পাট,ভুট্রা,তামাক,পেয়াজ,রসুন,মরিচ,
ডাল,বাঁধা কপি,ফুল কপি,ওলকপি,এবং বিভিন্ন সবজি উৎপন্ন হয়ে থাকে।
মেহেরপুর জেলায় বেশ কিছু ফল পাওয়া যায়,আম,কাঁঠাল,প্রচুর পরিমানে উৎন্ন হয়ে থাকে,মেহেরপুরের
আম খেতে অনেক মিষ্টি ও সুস্বাদু।মেহেরপুর জেলার কুটির শিল্প:মেহেরপুর জেলায় কুটির শিল্পের উপর
জীবিকা নির্বাহ করে হাজার পরিবার আয় রোজগার করে চলেথাকে।মেহেরপুরের হাতে তৈরি কাঁথা,
খেজুরের পাটি,বাশ ও বেতের তৈরি ধামা,কুলা,কাঠা ইত্যাদি চোখে পড়ে।
মেহেরপুর জেলার মৃৎ শিল্প,কাঁসা,পিতল,আলুমিনিয়াম আবির্ভাবের পূর্বে মেহেরপুরে মৃৎ শিল্পের
বিকাশ ঘটে,মাটির তৈরি,হাড়ি,থালা,গামলা,মালসা,কলসি,ঘরের কাজে ব্যবহার হতো।
মেহেরপুর জেলার সংস্কৃতি মেহেরপুর অঞ্চলে লাল শাহের চর্চা প্রভাব মেহেরপুরে প্রভাব পড়েছে।
এ ছাড়া মেহেরপুরে লোল- সংস্কৃতি, বাউলগীতি,আঞ্চলিক-গীতি,নাট্যচর্চা,ভাসানগান,মানিকপীরের গান উল্লেখযোগ্য।
মেহেরপুর জেলার প্রধান নদ-নদী,ভৈরব নদ,মাথাভাঙ্গা নদী,কাজলা নদী ও ছেউটিয়া নদী।
মেহেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান।
ভাটপাড়া ও আমঝুপি নীলকুঠি
মুজিবনগর বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী
আমদহ গ্রাম
সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দর
আমঝুপি নীলকুঠি
ভাটপাড়ার নীলকুঠি, সাহারবাটি
ভবানন্দপুর মন্দির
মেহেরপুর জেলায় আরও বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন
খুলনা বিভাগ,মেহেরপুর জেলা