নোয়াখালী জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য
নোয়াখালী জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য,দর্শনীয় স্থান
Noakhali District,লক্ষ্মীপুর,ফেনী এবংবৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে মহকুমা ছিল।বৃহত্তর নোয়াখালী নামে সুপরিচিত।ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর কোম্পানির গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস,১৭৭২সালে আধুনিক জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করেন।![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh2spoUUSJmOyidUwoql-wxfC7aeUle5cKf6EWPKx9za_xGDslUylEB5o5Yma0UZdhyNd1bau0usxVX7lmG0h-R_44eFMQO8tgn9xoOChAyI_LbDHAmhpOI-U9i4oN3hdIklegEOk6rre1YiPA34-ChWXjdzai0iB8mCrje6HjWqzJiObz_6HHxf2YDtQ/s1600/2AF881B8-10E0-4992-8C4A-BE97C032A4E6.jpeg)
নোয়াখালী জেলার ইতিহাস
নোয়াখালি একমাত্র জেলা নিজের নামে কোন জেলা নাই।মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য ১৯৫০ সালে ৮কিলোমিটার দুরে সদর দপ্তর স্থানান্তর করা হয় মাইজিতে।
নোয়াখালী শহর
মাইজদী নোয়াখালী জেলার প্রধান শহর,১৯৫০ সালে ব্রিটিশদের পরিকল্পনায় মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য ৮ কিলোমিটার দূরে মাইজদীতে নোয়াখালীর সদর দপ্তর স্থানান্তর করেন।
নোয়াখালী জেলার নামকরণের ইতিহাস?
ভুলুয়া নামে nohakhali district কে ডাকা হত,ইতিহাসবিদদের মতে ত্রিপুরার,পাহাড় হতে প্লাবিত হয়ে ডাকাতিয়া নদীর আশে পাশের ফসলি জমি নস্ট হয়ে যেত।ফসল রক্ষার জন্য ১৬৬০সালে একটি খাল খনন করা হয়।,খালটির নাম নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় নোয়া খাল ডাকা হত।স্থানীয়রা আস্তে আস্তে নোয়াখালী নামে ডাকা শুরু করে।
মাইজদি নোয়াখালীর জেলা শহর।নোয়াখালী নামে কোন শহর নাই।
নোয়াখালী জেলার দর্শনীয় স্থান?
বেশ কিছু পর্যটন স্পর্ট রয়েছে,নোয়াখালী জেলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে যায় পর্যটকরা।
জামিলা পার্ক
কল্যান্দী জমিদার বাড়ি
কমলা রানীর দীঘি
গান্ধী আশ্রম
নিঝুম দ্বীপ
নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যান
মাইজদী কোর্ট বিল্ডিং
ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল
স্বর্ণদ্বীপ
উপজেলা পৌর পার্ক
আলিপুর চৌরাস্তা
নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ
নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
মুছাপুর ক্লোজার
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন গ্রন্থগার ও স্মৃতি জাদুঘর
নোয়াখালী ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক
বজরা শাহী মসজিদ.
নোয়াখালী জেলার বিখ্যাত খাবার?
নোয়াখালী আথিয়তা পরায়ণ,নোয়াখালীর প্রতিটি ঘরে মেহমানের জন্য সকাল বেলা বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করা হয়।হয়।নারিলেলের নাড়ু,ম্যাড়া পিঠা, খোলাজা পিঠা,খেজুরের রস,সহ বেশ কিছু খাবার নোয়াখালী জেলায় বিখ্যাত।
নোয়াখালী কিসের জন্য বিখ্যাত?
বেশ কিছু কারনে জেলা বিখ্যাত হয়ে থাকে,তবে নোয়াখালীতে বেশি পাওয়া যায় আমরা সেটাই তুলে ধরছি,নারিকেল,খেজুরের রস,সুপারি,বিভিন্ন ধরনের পিঠা নোয়াখালীতে মেহমানদের আপ্যায়নের
জন্য খেতে দেওয়া হয়।
নোয়াখালী জেলায় কয়টি উপজেলা আছে?
৯টি উপজেলা নিয়ে,নোয়াখালী জেলা গঠিত।
নোয়াখালী জেলার উপজেলা সমুহের নাম কী?
কবিরহাট উপজেলা,কম্পানিগঞ্জ উপজেলা,চাটখিল উপজেলা,নোয়াখালী উপজেলা,বেগমগঞ্জ উপজেলা,
সুবর্ণচর উপজেলা,সেনবাগ উপজেলা,সোনাইমুড়ি উপজেলা,হাতিয়া উপজেলা।
নোয়াখালী জেলায় কয়টি থানা আছে?
১০টি থানা আছে।
নোয়াখালী জেলায় পৌরসভা কয়টি?
৮টি পৌরসভা আছে।
নোয়াখালী জেলার পৌরসভার নাম গুলো কী?
নোয়াখালী জেলায় মোট কয়টি ইউনিয়ন আছে?
৯৩টি ইউনিয়ন আছে।
নোয়াখালী জেলায় কয়টি মৌজা আছে?
মোট মৌজা ৮৮২টি.
নোয়াখালী জেলায় কয়টি গ্রাম আছে?
মোট৯৬৭টি গ্রাম আছে.
নোয়াখালী জেলায় কয়টি সংসদীয় আসন রয়েছে?
৬টি সংসদীয় আসন আছে।
নোয়াখালী জেলার সংসদীয় আসনের নাম কি কি?
নোয়াখালী জেলার মোট আয়তন কত?
৪২০২.৭০ বর্গ কিলোমিটার।
নোয়াখালী জেলার নদ-নদী?
মেঘনা নদী,ডাকাতিয়া নদী,ছোট ফেনী নদী।
নোয়াখালীতে কোন ধর্মের মানুষের বসবাস বেশি?
ইসলাম(৯৫.৪২%)
হিন্দু ধর্ম(৪.৫২%)
বৌদ্ধ ধর্ম(০.২%)
খ্রিস্ট ধর্ম(০.৪%)
নোয়াখালীতে শিক্ষার হার কত?
৬৯%.
নোয়াখালী জেলার জনসংখ্যা কত?
২০১১সালের আদমশুমারী অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ৩৩,৭০,২৫১ জন।
পুরুষ ১৬,১০,৪৪৪ জন।
নারী ১৭,৫৯,৮০৭ জন।
নোয়াখালী জেলা কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
১৯৮৪ সালে নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
নোয়াখালী জেলার পোস্ট কোড কত?
৩৮০০.
নোয়াখালী কোন বিভাগে অবস্থিত?
চট্রগাম বিভাগের অন্যতম জেলা।
নোয়াখালী জেলায় যাতায়াত।
নোয়াখালী টু ঢাকা চার লেনের হাইওয়ে রোড রয়েছে।বাংলাদেশের যেকোন যায়গা থেকে খুব সহজে নোয়াখালীর যাওয়া যায়,পাশাপাশি ট্রেইন,নৌপথে ও এ জেলায় যাতায়াত করা যায়।