হাম হাম ঝর্ণা মৌলভীবাজার

বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন নগরী,মৌলভীবাজার জেলা,এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান।কলমগঞ্জ উপজেলার,রাজকান্দি সংরক্ষিত বনবিটে, হাম হাম ঝর্নাটির অবস্থান।

হাম হাম ঝর্ণা হাম হাম ঝর্না হাম হাম ঝরনা

মৌলভীবাজারে আরও তিনটি জলপ্রপাত রয়েছে।প্রথম আবিস্কৃত হয় মাধবকুন্ড ঝর্ণা,দ্বিতীয় পরিকুন্ড।
কিভাবে আবিস্কার হয়েছিল হাম হাম ঝর্ণা?
এক যাক তরুণ ভ্রমন পিপাসুরা রাজকান্দি বনাঞ্চলের গভীর কুরমা বন বিটে২০১০সালের শেষের দিকে হাম হাম জলপ্রপাত টি আবিস্কার করেন।গভীর বনে লোক চক্ষুর অন্তরালে ছিল হাম হাম ঝর্ণা।
২০১০ সালে সবার কাছে পরিচিতি পেয়ে যায়।

হাম হাম ঝর্ণার উচ্চতা কত ফুঁট?
হাম হাম ঝর্ণার উচ্চতা আনুমানিক ১৭০ফুট। বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প আনুষ্ঠানিকভাবে দর্শনীয় স্থান হিসেবে ঘোষণা করেনি।তাই সরকারি কোন ধরনের অবকাঠামো নির্মান করা হয়নি।তবে এখানে পাহাড়ের মধ্যে ত্রিপুরা আদিবাসীরা বসবাস করে।স্থানীয় আদিবাসীরা গাইড হিসেবে কাজ করে ঝর্ণায় যেতে।

হাম হাম ঝর্ণার নামের উৎপত্তি?
ঝর্ণার নাম নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে বিভিন্ন মতবেদ রয়েছে। অনেকে মনে করে হাম্মাম বলতে গোসল খানা বুজায় তাই হাম্মাম থেকে হাম হাম এসেছে,কেউ কেউ বলে থাকেন সিলেটের উপভাষায় আ-ম,আ-ম বলতে বুজানো হয় ঝর্ণা,পানির তীব্র শব্দ আর ঝর্ণার যেহেতু পানির শব্দ করে,সেখান থেকেই হাম হাম শব্দে রুপান্তরিত হয়।
তবে স্থানীয়দের কাছে এটি চিতা ঝর্ণা নামে পরিচিত,
এই জঙ্গলে চিতাবাঘ বসবাস করত।
ঝর্ণায় কোন সময় পানি বেশি থাকে?
বর্ষাকালে হাম হাম ঝর্ণার ভরা যৌবন থাকে,পাহাড়ের বৃষ্টির পানি ঝর্ণা দিয়ে নিচে নেমে ঝর্ণার পাশে দিয়ে ছোট ছোট ছড়া দিয়ে বয়ে চলে।এ রকম ছোট বড় ছড়া পাড়ি দিয়ে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে ঝর্ণার পাশে যেতে হয়।হাম হামে যাওয়ার আগে আরেকটি ছোট ঝর্ণার দেখা মিলে।
ঝর্ণায় দেখার মত কি আছে?
সারি সারি কলাগাছ,জারুল,বেত বাগান,চশমাপড়া হনুমান,ডলু,মুলি, মিতিঙ্গা,কালি দেখা মিলে.
পাহাড়ে কি নিয়ে যাবেন?
হাম হাম ঝর্না দেখতে যাওয়ার সময় পানি,শুকনো খাবার,সাথে নিবেন। একাধারে হাটঁতে কস্ট হলে রাস্তার পাশে বিশ্রাম নিয়ে আবার হাঁটা শুরু করবেন।
কিভাবে যাবেন: কুরমা বন বিটের চম্পারায় চা বাগানে যেতে হবে।
চা-বাগান থেকে ঝর্ণার দুরুত্ব,৭ কিলোমিটার।
পাহাড়ের মধ্য দিয়ে মোকাম টিলার সরু রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কার্দমাযুক্ত মাঠির রাস্তা, সাপ,জোক, বাননের অত্যাচার সহ্য করতে হবে।

কিভাবে যাবেন?
ঢাকা হতে সায়েদাবাদ,মহাখালী,
ফকিরাপুল বাসে করে শ্রীমঙ্গল শহরে আসতে হবে।
ভাড়া. ৩০০/৪০০ টাকা নিবে।
ট্রেনযুগে:
ঢাকার কমলাপুর হতে ট্রেন যোগে শ্রীমঙ্গল স্টেশনে নামতে হবে.
ভাড়া. ২৫০/৩৫০ টাকা নিবে.
হাম হামে কিভাবে যাবেন?
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ১কিলোমিটার দুরে বিজিবি ক্যাম্পের পাশেই অবস্থিত সি এন জি স্টান্ড।
ভাড়া: জনপ্রতি. ২০ টাকা।
কোথায় থাকবেন: শ্রীমঙ্গল টাউনে ভালো মানের হোটেল আছে সেখানে থাকতে পারবেন।
কোথায় খাবেন:শহরের মধ্যে ভালো মানের খাবার হোটেল আছে সেখানে খেতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪