তৈদুছড়া ঝর্ণা খাগড়াছড়ি

তৈদুড়ড়া ঝর্ণা বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় অবস্থিত। তৈদুছড়া ঝর্না ৩০০ফুট উঁচু।পাহাড়ের গায়ে অসংখ্য পাথরের ধাপ আছে। 


ধাপ বেয়ে  জল গড়িয়ে নিচে পড়ে। প্রাকৃতিক বৈচিত্রতা তৈদুছড়া ঝর্না কে দিয়েছে ভিন্নমাত্র। খাগড়াছড়িতে যে কয়টি  দর্শনীয় স্থান রয়েছে তাদের মধ্যে তৈদুছড়া অন্যতম। জঙ্গলের মাঝে আঁকাবাঁকা পাহাড়ের ভাজ  দিয়ে বয়ে চলে ঝর্নার জল।শীতল স্বচ্ছ টলমলে জলের কলকল করে ছুটে চলার শব্দ মুখরিত হয় চারপাশ। ৩০০ ফুট উচুঁ পাহাড় হতে গড়িয়ে পড়া পানি এসে পড়ে পাথুরে ভুমিতে।

তৈদুছড়া ঝর্ণা

অন্য ঝর্নার মত পানি সরাসরি উপর হতে নিচে পড়ে না। পাহাড়ের গায়ে সিঁড়ির মত তৈরী হওয়া পাথুরে ধাপ গুলো অতিক্রম করে নিচে পড়ে তৈন্দুছড়া ঝর্ণার পানি।ডান পাশ দিয়ে পাহাড়ের উপরে আরেক টি ঝর্ণা আছে। থাংঝাং ঝর্ণা পানি একটি ঝিরি তৈরি করেছে। এই ঝিরির পানি থেকে তৈন্দুছড়া ঝর্নার সৃষ্টি হয়েছে।

কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকার গাবতলী,সায়েদাবাদ,উত্তরা ও আরামবাগ থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার বাসগুলো ছেড়ে যায়।খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা এবং সীমানা পাড়া এই দুই পথেই তৈদুছড়া যাওয়ার সড়ক রয়েছে। দীঘিনালা থেকে যেতে সময় লাগে মাত্র ৩০/৪০মিনিট।দিঘিনালা থেকে যাতায়াত ভাড়াঃ৬০টাকা মাত্র।মোটর সাইকেল করে চাপ্পাপাড়া,পোমাংপাড়া কিংবা জামতলী হতে দুর্গম পথ, উচু নিচু পাহাড় জঙ্গল পাড়ি দিয়ে যেতে হয়।প্রায় ৩ ঘন্টা হাটার পর পৌছবেন ১ম ঝর্ণায় আরও ১ঘন্টা হাটার পর পাহাড়ে ট্রেকিং ও ঝিরি পাড়ি দিয়ে পৌঁছতে ২য় বার ঝর্ণা দেখতে পাবেন।


কোথায় থাকবেনঃ খাগড়াছড়ি জেলা প্রসাশক একটি রেস্ট হাউজ নির্মান করেন যাতে পর্যটকরা রাতে সেখানে থাকা যাবে  খুমপুই রেস্টহাউযে।খাগড়াছড়ির শহরে ও ভাল মানের থাকার হোটেল আছে।
কোথায় খাবেনঃ খাগড়াছড়ির শহরে অনেক ভালো  মানের খাবার হোটেল আছে সেখানে আপনাদের পছন্দমতো খেতে পারবেন.


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪