জিতু মিয়ার বাড়ি, সিলেট।
বাংলাদেশ বৃটিশ আমলে জমিদারপ্রথ চালু ছিল, জমিদারপ্রথা চালু তাকার সময় এদেশের জমিদারগন দেশের অনেক জমিদারগন বিলাশবহুল বাড়ি নির্মান করে তাদের জমিদারি জাহির করতেন, এর মধ্যে অন্যতম জিতু মিয়ার বাড়িটি।
সিলেট শহরে সুরমা নদীর পাড়ে শেখঘাটে(কাজিরবাজারে) অবস্থিত জিতু মিয়ার বাড়ি। বাড়িটি নির্মান করেন ১৮৮৫ সালে মাওলানা আবু মোহাম্মদ আবদুর কাদির।
১৮৫৭ সালের ভুমিকম্পে বাড়িটি স্থাপনা ক্ষতিগস্ত হলে ১৯১১ সালে জিতু মিয়া বাড়িটির সামনের অংশে একটি নতুন দালান নির্মান করেন।
বর্তমানে মূল ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাড়িটি দ্বিতলা ভবন,
নির্মানঃ মোগল আমলে বেশির ভাগ বাড়ি নির্মান করা হত চুনও সুরকি দিয়ে, এই বাড়িটি ও চুনও সুরকি দিয়ে নির্মান করেন,
আয়তনঃ জিতুমিয়ার বাড়িটির মোট ভুমির পরিমান ১দশমিক ৩৫৬ একর। বাড়িতে কি কি রয়েছে।বাড়িটির নিচ তলায় একটি ড্রয়িং রুম হিসেবে ব্যবহৃত হত, সংগৃহিত ক্যালিওগ্রাফি করা কুরআন ও হাদিসের বাণী।অপর কক্ষে রয়েছে একটি লম্বা কালো টেবিলও ২০ টি চেয়ার, যা তৎকালিন সময়ে ব্যবহার করা হত। দৃষ্টিনন্দন বাড়িটির পাশেই রয়েছে কাজির বাজার ব্রীজ, যা সুরমা সেতুর ৩ং ব্রীজ এই দৃস্টিনন্দন এই ব্রীজ টি।
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে সিলেট, বাস,ট্রেন,প্লেইন দিয়ে যাতায়াত করা যায়।
বাসস্টান্ডঃ ঢাকার সায়েদাবাদ, মহাখালী থেকে সিলেটের যে কোন বাসে করে যাওয়া যায়.
বাস ভাড়াঃ ৩০০-১২০০ টাকার মধ্যে হবে।রেললাইনে যাতায়াতঃ ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সিলেট গামী যে কোন ট্রেনে করে যাওয়া যাবে. ভাড়া ২৫০-৪০০ টাকা হবে।
প্লেইনঃ ঢাকা সিলেট যাতায়াত করে নিয়মিত বিজনেস ক্লাস বিমান ভাড়া অনলাইনে দেখে নিবেন।
থাকার যায়গাঃ সিলেট শহরে অনেক ভাল মানের হোটেল আছে, আপনাদের ইচ্ছামত যে কোন মানের হোটেলে থাকতে পারবেন।খাবারঃ সিলেট শহরে জিন্দাবাজারে অনেক ভাল ভাল নামিদামি হোটেল আছে সেখানে খেতে পারবেন মজার মজার খাবার।