শ্রীমঙ্গল বধ্যভূমি৭১
চায়ের দেশে ঘুরতে যাওয়া গাছপালা বেস্টিত নগরিতে গড়ে উঠেছে পর্যটকদের জন্য অনেক পর্যটন কেন্দ্র.সবুজে ভরপুর যে দিকে চোখ যায় সেদিকে সবুজের সমারোহ চোখ জুড়িয়ে যায়.শ্রীমঙ্গল শহরের পাশেই বধ্যভূমি৭১ নামে একটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে. মৌলভীবাজার জেলা প্রসাশক কর্তৃক. ভরবরিয়া ছড়ার দু পাশের খালি যায়গায় নির্মান করেন বধ্যভূমি৭১.বিজিবি ক্যাম্পের পাশেই যায়গাটি.পুর্বে কলমগঞ্জ রোড,দক্ষিনে চা বাগান, পশ্চিমে রাস্তা,উত্তরে বিজিবি ক্যাম্প রয়েছে. যায়গাটি তিন কোনা বেস্টিত মধ্যে একটি ছড়া রয়েছে, বধ্যভূমি,ছড়ার এক পাশ থেকে অন্য পাশে যাতায়ত করার জন্য একটি জুলন্ত সেতু নির্মান করেন, সেতুটি বধ্যভূমি কে আরও সৌন্দয্যমন্ডিত করে তুলেছে. এক পাশ থেকে অন্য পাশে সহজেই যাতায়ত করা যায় জুলন্তব্রীজ দিয়ে.বর্ষার সময় পাহাড়ি ঢলের পানি ছড়া দিয়ে যায়,তখন পানি যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করে দর্শনার্থীরা. ১৯৭১ সালের শহিদের স্বরণে বধ্যভূমি৭১ নির্মান করা হয়েছে. শ্রীমঙ্গল শহরের পাশে হওয়াতে পর্যটকদের ভিড় থাকে এখানে. শহরের মানুষেরা বিকাল বেলা শীতল বাতাস উপভোগ করার জন্য ছুটে চলে যায় বধ্যভূমিতে. যেখানে রয়েছে দর্শনার্থীর জন্য অবসর সময় কাটানোর সুর্বণ সুযোগ-সুবিধা.
বধ্যভূমিতে কি
আছে?এখানে একটি বট গাছ ছিল বটতলার নিচে শত শত মুক্তিযাদ্ধা
সহ সাধারন মানুষ কে হত্যা করে পাকিস্তান হানাদারবাহিনী, হত্যার পর গন
কবর দেওয়া হয় এখানে.২০১০ সালে ডিসেম্বর মাসে শহিদদের স্বরনে বধ্যভূমি৭১ নির্মান
করেন মৌলভীবাজার জেলা প্রসাশক,শহিদ মিনারের আদলে। এখানে দুটি শহিদ মিনার স্তম্ভ
রয়েছে. বধ্যভূমি৭১ ভাষ্কর্য উচ্চতাপ্রায়৩০ফুট.মৃতুনঞ্জয়ী
৭১ভাষ্কর্য এটির উচ্চতা প্রায়১৪ফুট.দর্শনার্থীদের জন্য বধ্যভুমিতে রয়েছে. বসার
জন্য অনেক গুলো ছাতা. সবুজ মাঠে ঘাঁসে বসে গল্প করার মত স্থান.শহিদের স্বরনে
বিভিন্ন ধরনের স্তম্ভ সম্মলিত স্থাপনা.
কিভাবে যাবেন?ঢাকা থেকে
সায়েদাবাদ,মহাখালী,ফকিরাপুল থেকে বাসে করে শ্রীমঙ্গল শহরে আসতে
হবে.ভাড়া.৩০০/৪০০ টাকা নিবে.
ট্রেনযুগে:ঢাকার কমলাপুর থেকে ট্রেন যোগে শ্রীমঙ্গল স্টেশনে নামতে
হবে. ভাড়া.২৫০/৩৫০ টাকা নিবে.কিভাবে যাবেন:শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ১কিলোমিটার দুরে বিজিবি
ক্যাম্পের পাশেই অবস্থিতযাতায়ত: টম টম /রিক্সা. ভাড়া: জনপ্রতি. ২০ টাকা
কোথায় থাকবেন: শ্রীমঙ্গল
টাউনে অনেক ভালো মানের হোটেল আছে সেখানে থাকতে পারবেন.
কোথায় খাবেন: ফ্রেশ কর্নার৭১
নামে খাবার হোটেল রয়েছে,এখানে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়.অথবা শহরের মধ্যে
অনেক ভালো মানের হোটেল আছে সেখানে খাবার খেতে পারবেন.