ভারত ভিসার জন্য আবেদন করতে যেসব কাগজ পত্র লাগবে

ভারতীয় ভিসা আবেদন করবেন যেভাবে প্রয়োজনীয় কাগজ এবং খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।


ভারত ভ্রমণে যাওয়ার জন্য ভাবছেন কিভাবে ভারতীয় ভিসা প্রসেসিং করতে হয়। কতদিন লাগবে ভিসা পেতে, ইন্ডিয়া ভিসার ফ্রি কত আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ুন। ভারতীয় ভিসার প্রযোজনীয় কাগজ নিজেই প্রস্তুত করতে পারবেন। ই-টুরিস্ট ভিসা, ই- বিজনেস ভিসা, ই- মেডিকেল ভিসা, ই - মেডিকেল, ই - অ্যাটেন্ডডেন্ট ভিসা।


ভারত ভ্রমন ভিসার জন্য আবেদন করতে যেসব কাগজ পত্র লাগবে
১.পাসপোর্ট 
২.ব্যাংক স্টেটমেন্ট 
৩.ভোটার আইডি কার্ড / জন্ম নিবন্ধন / বিদ্যুৎ বিল / গ্যাস বিল/ পানি বিল 
৪.ট্রেড লাইন্সেস 
৫.ভিজিটিং কার্ড
৬.বিজনেস প্যাড
৭.ছবির সাইজ
৮.হোটেল বুকিং 
৯.সর্বশেষ ইন্ডিয়া ভিসার কপি
১০.ম্যারেজ সার্টিফিকেট 


০১.পাসপোর্ট, ভারতীয় ভ্রমণ ভিসা আবেদন করতে হলে, অবশ্যই আপনার পাসপোর্টে ২টি পাতা সাদা থাকতে হবে। এবং পাসপোর্টের মেয়াদ ভারতীয় ভিসা ইস্যূ হওয়ার পর থেকে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে।পুরাতন পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
পাসপোর্ট ২টি সাদা পাতা থাকতে হবে
পাসপোর্টের মেয়াদ ভিসা ইস্যূ হওয়ার পর  ৬ মাস থাকতে হবে
পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে অবশ্যই সঙ্গে জমা দিতে হবে।
পাসপোর্টে যে অংশ আছে এর ফটোকপি জমা দিবেন 


0২.ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট অবশ্যই ৬ মাসের হতে হবে, ব্যাংক ব্যালেন্স নিম্নে ২০ হাজার টাকা দেখাতে হবে।মার্কিন ১৫০ ডলার সমমূল্য ইনডোর্সমেন্ট বা আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে।

0৪.জাতীয় পরিচয় পত্র, আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি   জমা দিবেন / জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করলে অবশ্যই জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি জমা দিতে হবে। বিদ্যুৎ বিল / গ্যাস বিল/ পানি বিল তিনটির যে কোন একটি জমা দিতে হবে আবেদনের সময়। অবশ্যই  সম্প্রতি যে বিল সেটির কাগজ জমা দিবেন।

০৫.ট্রেড লাইসেন্স, ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা/ সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স উত্তোলন করতে হবে।ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে।ট্রেড লাইসেন্স ইংলিশ অনুবাদ, ইংরেজিতে অনুবাদ করতে হবে এবং অনুবাদ করা ট্রেড লাইসেন্স টি নোটারি পাবলিক করতে হবে, তার পর সকল কাগজ পত্রের সাথে জমা দিতে হবে।

  • বাংলা ট্রেড লাইসেন্স 

  • ইংরেজিতে অনুবাদ কপি জমা দিবেন

  • ইংরেজিতে অনুবাদ কপি নোটারি পাবলিক করতে হবে।

0৬.ভিজিটিং কার্ড, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ইংরেজিতে ভিজিটিং কার্ড বানাতে হবে, কার্ড প্রফেশনাল মানের হতে হবে।

0৭.বিজনেস প্যাড, আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে একটি বিজনেস  প্যাড বানাবেন,ফরমেট কিভাবে রেডি করতে হয়, অনলাইনে অনেক ফরমেট পাবেন দেখে নিবেন।

0৮.ছবির সাইজ, সদ্য তোলা ছবি জমা দিতে হবে আবেদন ফরমের সাথে। ছবির সাইজ ২×২ মিমি হতে হবে, ল্যাব প্রিন্ট ছবি জমা দিবেন। স্টুডিওতে বললেই ইন্ডিয়ান ছবির সাইজ তারা দিয়ে দিবে। তবে এক ছবি একাদিক দেশে ব্যবহার করবেন না।


১১.হোটেল বুকিং, ভারত যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদনের সময় হোটেল বুকিং রশিদ জমা দিতে হয়। তাই বিশ্বের বেশ কিছু ওয়েব সাইট আছে তাদের কাছ থেকে হোটেল বুকিং রশিদ সংগ্রহ করতে পারবেন। যেমন Agoda, booking.com থেকে পে না করেই রশিদ নিতে পারবেন।

১২.সর্বশেষ ইন্ডিয়ান ভিসার কপি, ইতিমধ্যে যদি ভারত ভ্রমণ করে থাকেন, ভিসার মেয়াদ শেষ তাহলে অবশ্যই পুরাতন ভিসার কপি জমা দিবেন। 

১৩.মারেজ সার্টিফিকেট, স্বামী,স্ত্রী ভারতীয় যেতে চাইলে অবশ্যই কাবিননামা ইংরেজি সার্টিফিকেট আবেদনের সময় জমা দিবেন।

১৪.১৮ বছরের নিচে হলে অবিভাবকের সম্মতিপত্র, পরিবারের সাথে ছাড়াও অনেকে আছে ভ্রমণ করতে চায়, তখন পরিবারের অনুমতি পত্র লাগে সেটি জমা দিবেন আবেদনের সময়।


পেশা অনুযায়ী যেসব  ডকুমেন্টন্স লাগবে

যে কোন দেশের ভিসার জন্য পেশার ডকুমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পেশা কি কোন পেশায় আছেন এসব জমা দিলে আপনার জন্য ভিসা সহজ হবে। পেশা অনুযায়ী কি কি ডকুমেন্ট লাগে আলোচনা করা হল নিচে।


চাকুরিজীবি,  চাকুরিজীবি হলে আপনার অফিসের অফিসিয়াল নো অবজেকশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করবেন(NOC)। অফিস থেকে একটি প্যাড সংগ্রহ করবেন।যেখানে লিখা থাকবে, আপনার নাম, পাসপোর্ট নম্বর, ভ্রমনের কারন ইত্যাদি। প্যাডে অবশ্যই আপনার কম্পানির ওয়েবসাইট এড্রেস, মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে। ভারতীয় এম্বেসি অনেক সময় ওয়েব সাইট ভিজিট করতে পারে। অথবা মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে আপনার সম্পর্কে জানতে পারে।

যেসব কাগজ অবশ্যই লাগবে, 

  • NOC নো অবজেকশন লেটার

  • অফিস ভিজিটিং কার্ড 

  • অফিস আইডি কার্ড

  • স্যালারি ব্যাংক স্টেইটমেন্ট

  • পে স্লিপ অথবা স্যালারি সার্টিফিকেট


ছাত্র - Students 

যারা ছাত্র ফ্যামিলির সাথে ভ্রমণে যেতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই স্কুল অথবা কলেজ/ ইউনিভার্সিটির আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে। আরও ভালো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  থেকে একটি ছাড়পত্র জমা দিতে পারেন। 

যেসব কাগজ ছাত্র / Students হিসেবে জমা দিতে হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড / ইউনিভার্সিটি আইডি কার্ড 

  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে রেকমেন্ডেশন লেটার

  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নো অবজেকশন লেটার


ব্যবসায়ী, যারা বিজনেসম্যান অনেক সময় ভ্রমণের জন্য বাহিরে যেতে হয় বা ঘুরাঘুরির জন্য। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে যেসব কাগজ অবশ্যই লাগবে।আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স,বাংলা যদি লাইসেন্স থাকে অবশ্যই ইংরেজিতে অনুবাদ করিয়ে নিতে হবে।ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে একটি বিজনেস প্যাড, ভিজিটিং কার্ড। এসব কাগজ অবশ্যই জমা দিতে হবে।লিমিটেড কম্পানি মেমোরেন্ডাম আর্টিকেল কপি জমা দিতে হবে।

যেসব কাগজ লাগবে

  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স 

  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে বিজনেস প্যাড 

  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ভিজিটিং কার্ড

  • লিমিটেড কোম্পানি মেমোরেন্ডাম আর্টিকেল কপি জমা দিতে হবে।


ডাক্তার বা আইনজীবী যারা ভ্রমণে যেতে চান তাদের অবশ্যই আবেদন প্রক্রিয়া খুবই সহজ। ডাক্তার হলে কর্মস্থলের NOC নো অবজেকশন লেটার জমা দিবেন। অথবা BMDC সার্টিফিকেট লাগবে।আইনজীবী হলে বার কাউন্সিলের NOC নো অবজেকশন সার্টিফিকেট জমা দিলেই হবে। যেখান থেকে সার্টিফিকেট নিতে পারবেন বার কাউন্সিল অথবা ল ফার্ম থেকে নিতে পারবেন।

যেসব কাগজ লাগবে

  • হাসপাতাল থেকে NOC 

  • BMDC সার্টিফিকেট 

  • বার কাউন্সিলের সনদ বা NOC 


ভারতীয় ভ্রমণ ভিসার জন্য সকল ডকুমেন্টস যদি থাকে নিজেই আবেদন করতে পারবেন। কিভাবে আবেদন করবেন, আবেদন ফরম জমা দেওয়ার নিয়ম, টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম এবং ভিসা ট্রেকিং সহ আলোচনা করা হল এখানে।







০১.ভারতীয় ভ্রমণ ভিসা আবেদন ফরম পূরন করতে, ভারতীয় হাইকমিশনের ওয়েব সাইটে ক্লিক করুন  http://www.ivacbd.com/ ফরম পূরন করার সময় খেলায় রাখবেন কোন তথ্য যেন ভুল না হয়। ভালোমতো চেক করে পূরণ করবেন।

০২.ভারতীয় ভিসা জমা দেওয়ার নিয়ম, আপনার অনলাইন ফরম পূরণ করা হয়ে গেলে সরাসরি ইন্ডিয়ার নির্ধারিত ভিসা সেন্টারে মূল পাসপোর্ট সহ সকল কাগজ জমা দিতে হবে, তবে ফাইল জমা দেওয়ার সময় অবশ্যই ফরমের মধ্যে ছবি লাগিয়ে দিতে হবে। ব্যাংক রশিদ ও ফাইলের সাথে জমা দিয়ে দিবেন। আপনার ফাইল ইন্ডিয়ার ভিসা সেন্টারে নিজ জমা দিতে পারবেন। যেখানে জমা দিতে পারবেন।

বাংলাদেশের বেশ কিছু বিভাগীয় শহরে জমা দিতে পারবেন। যেমন সিলেট, চট্রগাম, ঢাকা, ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক।খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, যশোরে রয়েছে India Ivac কর্তৃক অনুমতিত বেশ কয়েকটি শাখা।

ভারতীয় ভ্রমণ ভিসা ফ্রি

বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের থেকে ইন্ডিয়া ভিসা ফ্রি রাখে না শুধু ভিসা প্রসেসিং ফ্রি ৮০০টাকা পেমেন্ট করতে হয়।https://payment.ivacbd.com ভিসা ফ্রি পেমেন্ট করতে প্রবেশ করুন। বিকাশ, রকেশ ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন। অথবা ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ডে ও পেমেন্ট করতে পারবেন।

০৬.ভারতীয় ভিসা আবেদন ট্র‍্যাক করা, ভারতীয় ভিসা নিজে আবেদন করলে যে সেন্টারে জমা দিবেন সেই সেন্টারের ওয়েব সাইটে গিয়ে আপনার ভিসার সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন কত দিন সময় লাগবে ভিসা পেতে।

০৬. ভারতীয় ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে, ভারতীয় ভিসা সেন্টারে সকল ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার পর থেকে ৩০-৪০ দিনের মধ্যে ভিসা হয়ে যাবে। ভিসা হয়ে গেলে আপনাকে ফোন দিয়ে জানাবে পাসপোর্ট নিয়ে আসতে বলবে ভারতীয় ভিসা সেন্টার হতে।

০৭.ভারতীয় ভিসার ধরন, ই - টুরিস্ট ভিসা, ই - মেডিকেল ভিসা, ই -  টানজিট ভিসা,নন ইমিগ্রেশন ভিসা, গ্রুফ ট্রাভেল ভিসা, ডিপলোম্যাটিক অফিসিয়াল পাসপোর্ট ভিসা, ফরেন পাসপোর্ট ভিসা

ইন্ডিয়ান ভিসা নিজে আবেদন করার নিয়ম, নিজেই যদি ইন্ডিয়ার ই - ভিসা আবেদন করেন, তাহলে আপনার সচল একটি ই - মেল থাকতে হবে। ভিসা আবেদনের আগে সকল তথ্য ভালকরে যাচাই করে কম্পিউটারে বসবেন আবেদন ফরম পূরনের সময় ১ ঘন্টার মত সময় নিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করবেন। আপনার পূরণ করা ফরম ভালমত যাচাই করে ডাউনলোড করবেন। তারপর রঙ্গিন বা সাদাকালো ফরম নিয়ে আপনার কাছের শহরে ভিসা ফরম জমা দিবেন।

এজেন্সি দিয়ে ইন্ডিয়ান ভিসা করানোর নিয়ে কিছু কথা, এজেন্সি দিয়ে ই - ভিসার আবেদন করালে আপনার যেসব কাগজ বাকী থাকবে এজেন্সি নিজ দ্বায়িত্ব নিয়ে সকল কাজ সমাপ্ত করবে। যদি নিজে ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন না করতে পারেন তাহলে অবশই এজেন্সি দিয়ে করানো উচিত।


ভিসা সংক্রান্ত বিষয় জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইটে www.vlogbd.com ডকুমেন্টস রেডি করতে ইমেল করুন chynuman33@gmail.com নির্ধারিত ফ্রি এর মাধ্যমে আমরা কাজ করে থাকি।










এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪